সাউন্ডবক্সের উচ্চ শব্দে লেখাপড়ায় বিঘ্ন, গণ অভিযোগ ইবির আবাসিক শিক্ষার্থীদের

সাউন্ডবক্সের উচ্চ শব্দে লেখাপড়ায় বিঘ্ন, গণ অভিযোগ ইবির আবাসিক শিক্ষার্থীদের

সাউন্ডবক্সের উচ্চ শব্দে লেখাপড়ায় বিঘ্ন, গণ অভিযোগ ইবির আবাসিক শিক্ষার্থীদের

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও এর আশেপাশে শব্দ দূষণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এতে পড়ালখার পরিবশ নষ্ট হওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। শব্দ দূষণ বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের  প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন অর্ধশত আবাসিক শিক্ষার্থী। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্টের মাধ্যমে প্রক্টরের কাছে এ অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ সাদ্দাম হোসেন হলের আশেপাশে বিশেষ করে ক্যাফেটেরিয়ার পাশের অংশ, ফুটবল মাঠসহ বিভিন্ন অংশে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজানো হয়। ফলে উচ্চ শব্দদূষণ জনিত কারণে প্রতিনিয়ত হলের পড়ালেখার সার্বিক পরিবেশ বিঘ্নিত ঘটে । এতে হলের ছাত্রদের দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি ও স্বাভাবিক পড়ালেখার মনোযোগ নষ্ট হয় । ফলে আমরা মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত । আবাসিক হল গুলোর পারিপার্শ্বিক সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে এসব শব্দ দূষণ বন্ধের দাবি জানান তারা।

জানা যায়, অনুমতি নিয়ে বা অনুমতি ছাড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ শব্দে গান বাজনা করা হয়। বিশেষ করে রাতে আাবাসিক হলগুলোর ছাদে উচ্চ শব্দে সাউন্ডক্সে গান বাজনোর ফলে আবাসিক শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন এতে পরীক্ষার রাতের ঠিক মতো পড়তে পারেন না তারা। এছাড়াও মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হন বলে দাবি তাদের। 

প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে এটা সাপোর্ট করি না। আমি চাই না হলের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হোক। আমি প্রভোস্টদের সাথে এটা নিয়ে আলোচনা করবো। প্রয়োজনে আমরা হলগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করবো।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কোন কিছুই চলতে দেওয়া হবেনা। আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।