মধ্যপ্রাচ্যে ৬ যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নিয়ে এবার মুখ খুলল চীন

মধ্যপ্রাচ্যে ৬ যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নিয়ে এবার মুখ খুলল চীন

সংগৃহীত

হামাস-ইসরাইলের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ ‘আঞ্চলিক যুদ্ধে’ রূপ নেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে বিশ্লেষকরা শুরু থেকে সতর্ক করে দিয়ে আসছেন। 

এর মাঝেই মধ্যপ্রাচ্যে চীনের ছয়টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন ঘিরে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে। 

তবে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গু মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের বিষয়ে ‘ভিত্তিহীন প্রচার’ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ওমানের রাজকীয় নৌবাহিনীর সাথে যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে গত সপ্তাহ থেকে চীনের একটি গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ারসহ ছয়টি যুদ্ধজাহাজ মধ্যপ্রাচ্যে নোঙর করেছে।

রোববার রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিউ পেঙ্গু বলেছেন, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের বহরটি একটি এসকর্ট মিশনের জন্য যাত্রা করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে বন্ধুত্বপূর্ণ সফর করছে। এই সত্যকে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং ভিত্তিহীন প্রচার বন্ধ করা উচিত।

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের যুদ্ধজাহাজের বহর দেশে ফিরছে নাকি ওই অঞ্চলে মোতায়েন থাকবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে রোববার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর ওই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা বৃদ্ধির মাঝে ওয়াশিংটন পারস্য উপসাগরে বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার মোতায়েন করেছে।

মার্কিন নৌবাহিনীর গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস কার্নি ইয়েমেনের বিদ্রোহীগোষ্ঠী হুথি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর ইসরাইল লক্ষ্য করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে বাধা দিয়েছে বলে ওয়াশিংটন জানিয়েছে। তবে হুথিরা ইসরাইলকে সফলভাবে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু বানানোর দাবি করেছে।

পেন্টাগন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড বর্তমানে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অবস্থান করছে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে সংঘাতে যোগদানের কথা বিবেচনা করতে পারে, এমন তৃতীয়পক্ষকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই রণতরী কাজ করছে। হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে ওয়াশিংটন মূলত ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

লেবাননের এই প্রতিরোধ আন্দোলন সীমান্তের ওপারে ইসরাইলি সামরিক অবস্থানে হামলা জোরদার করছে। গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হামলা চালিয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০ ইসরাইলি সৈন্যকে হত্যার দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। 

একই সময়ে ইসরাইলের ১০টি মেরকাভা ট্যাংক ও চারটি সামরিক যান ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। আর ইসরাইলের হামলায় হিজবুল্লাহর অন্তত ১৯ সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর, স্পুটনিক।