দুই মাস ধরে 'নিখোঁজ' প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করল চীন

প্রায় দুই মাস লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যাওয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফুকে অপসারণ করল চীন। একইসঙ্গে স্টেট কাউন্সিলর পদ থেকেও সরিয়ে দেয়া হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার চীনা সরকারের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে স্থায়ী অপসারণের পাশাপাশি পদচ্যুত হওয়া সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। শীর্ষ নেতৃত্বে রদবদলের অংশ হিসেবে এমনটি করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

চলতি বছর মার্চে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তৃতীয়বারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে আসেন ৬৫ বছর বয়সী লি শাংফু। ৫৭ বছর বয়সী কিন গ্যাংও একই সময়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন।

দুর্নীতি ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপনের অভিযোগে গত জুলাইয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে কিন গ্যাংকে সরিয়ে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’কে নিয়ে আসা হয়। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে জেনারেল লি’র উত্তরসূরী এখনও নির্ধারিত হয়নি বলে জানা গেছে। সর্বশেষ গত ২৯ আগস্ট তাকে জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল।

মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের সর্বোচ্চ ফোরাম স্ট্যান্ডিং কমিটি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারির ইতোমধ্যে তা কার্যকর করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভি।

ঠিক কী কারণে জেনারেল লি শাংফুকে অব্যাহতি দেয়া হলো— সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি সিসিটিভির প্রতিবেদনে, তবে তার বিরুদ্ধে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় ও উন্নয়ন সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। গত মাসে সেই অভিযোগের তদন্তও শুরু হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এ অভিযোগের সত্যতার জেরেই চাকরি ও দলীয় পদ থেকে বহিঃষ্কার করা হয়েছে জেনারেল লি’কে।

এদিকে চীনের সরকারি সংস্থা জিয়াংশান ফোরামের উদ্যেগে আগামী ২৯ অক্টোবর রাজধানী বেইজিংয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সম্মেলন শুরু হচ্ছে। মাত্র চার দিন পর শুরু হতে যাওয়া সেই সম্মেলনে চীনের প্রতিনিধিত্ব কে করবেন— তা এখনও অজানা। যদি আগামী তিন দিনের মধ্যে এই পদে কেউ না আসেন, সেক্ষেত্রে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছাড়াই সম্মেলনে অংশ নিতে হবে চীনকে।