ভোমরা দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি ৯ হাজার টন বেড়েছে

ভোমরা দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি ৯ হাজার টন বেড়েছে

ছবিঃ সংগৃহীত।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় নয় হাজার টন বেড়েছে। কম উৎপাদন ও ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা আমদানি বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।

এদিকে আমদানি বাড়লেও কোনোভাবেই কমছে না মসলাপণ্যটির দাম, উল্টো বাড়ছে। পাইকারিতে প্রতি কেজি শুকনা মরিচের দাম গত বছরের এ সময়ের তুলনায় ১৩০-১৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

 

পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা বলছেন, অধিকাংশ মসলাপণ্যের চাহিদা পুরোপুরিভাবে আমদানির মাধ্যমেই মেটাতে হয়। তাছাড়া ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধিও সব ধরনের আমদানীকৃত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে।

সাতক্ষীরার ভোমরা শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রাজু জানিয়েছেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছে ১৪ হাজার ২৭০ টন, যার মূল্য ৩৫৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময় আমদানি হয়েছিল ৫ হাজার ৪৬৯ টন, যার মূল্য ছিল ১৩০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ হিসাবে আমদানি বেড়েছে ৮ হাজার ৮০১ টন।

 

ভোমরা স্থলবন্দরের অন্যতম মসলা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, বাজারে চাহিদা থাকায় গত অর্থবছরের তুলনায় তার প্রতিষ্ঠান শুকনা মরিচ আমদানি বাড়িয়েছে। সপ্তাহে ২৪-২৫ ট্রাক আমদানি করা হচ্ছে, যা গত অর্থবছরের এ সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি।

সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড়বাজারের মসলা আড়ত মেসার্স মামা-ভাগ্না ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী মো. জহুরুল হক জানান, গতকাল তার আড়তে শুকনা মরিচ পাইকারি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৬০-৪৭০ টাকায়। গত বছরের এ সময় পাইকারি দাম ছিল ৩২০-৩৩০ টাকা। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ডলারের বিনিময় হার বাড়ায় আমদানি খরচ বেড়েছে সব ধরনের মসলার।’

 

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু সালেহ আব্দুল্লাহ জানান, শুধু শুকনা মরিচই নয়, অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। তার পরও প্রশাসনের সঙ্গে সমম্বয় করে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।