বাংলাদেশকে লজ্জার রেকর্ড থেকে ‘মুক্তি’ দিলো শ্রীলঙ্কা

বাংলাদেশকে লজ্জার রেকর্ড থেকে ‘মুক্তি’ দিলো শ্রীলঙ্কা

সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে টানা সাত ম্যাচে জয় পেয়েছে ভারত। মুম্বাইয়ে ভারতের দেওয়া ৩৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে মাত্র ৫৫ রানেই গুটিয়ে গেছে লঙ্কানরা। ফলে ৩০২ রানের জয়ে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে পা দিয়েছে রোহিত শর্মারা।

পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যায়, ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডটি ৩৫ রানের, আর বিশ্বকাপে সেটি ৩৬। কানাডার গড়া ওই লজ্জার রেকর্ডই শ্রীলঙ্কার জন্য হুমকির মুখে ছিল। কারণ, ম্যাচের এক সময় মনে হচ্ছিল, লঙ্কানরা বুঝি এসব রেকর্ড ভেঙে দিবে।

তবে ভাগ্য ভালো ১৯৯৬ এর বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ওই দুই লজ্জার রেকর্ডে নাম লেখাতে হয়নি। তবে তারা বিশ্বকাপের মঞ্চে যা করেছে, সেটাও কম লজ্জার নয়। অবশ্য তাতে বাংলাদেশেরই লাভ হয়েছে। বাংলাদেশকে মুক্তি দিয়েছে বিশাল এক লজ্জার রেকর্ড থেকে।

২০১১ সালের বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে এতো দিন চতুর্থ সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড ছিল। তবে ১২ বছর পর বাংলাদেশকে সে রেকর্ড থেকে মুক্তি দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে ৫৫ রানে অলআউট হয়ে চতুর্থ স্থানে এসেছে তারা। পঞ্চম স্থানে পাঠিয়েছে টাইগারদের। এই হারে কার্যত বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েছে লঙ্কানরা। কারণ সাত ম্যাচ খেলে দুই জয়ে তাদের পয়েন্ট সংখ্যা চার। হাতে রয়েছে আরও দুইটি ম্যাচ। যেখানে দুই জয় পেলেও সেমিতে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না।

বিশ্বকাপে দলীয় সর্বনিন্ম রানে অলআউেটর পাঁচটি রেকর্ড :

১) কানাডা ২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৬ রানে আউট হয়।
২) কানাডা ১৯৭৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫ রানে আউট হয়।
৩) নামিবিয়া ২০০৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৫ রানে আউট হয়।
৪) শ্রীলঙ্কা ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৫৫ রানে আউট হয়।
৫) বাংলাদেশ ২০১১ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ রানে আউট হয়।