ইংল্যান্ডের বিদায়ে বাটলার ‘দু:খিত’

ইংল্যান্ডের বিদায়ে বাটলার ‘দু:খিত’

ইংল্যান্ডের বিদায়ে বাটলার ‘দু:খিত’

বিশ্বকাপ থেকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিদায়কে ‘দু:খজনক’ হিসেবে অভিহিত  করেছেন অধিনায়ক জস বাটলার।গতকাল শনিবার চির প্রতিদ্বন্দ্বি অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩৩ রানের পরাজয়ে ইংল্যান্ড সাত ম্যাচে ষষ্ঠ পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে। বাটলার বলেন, ‘এমন  হতাশা মেনে নেয়া যায়না। বিশেষ করে অধিনায়ক হিসেবে আমি সত্যিই এই মুহূর্তে দু:খিত। ভারতে আসার আগে আমরা জানতাম এবারের টুর্নামেন্টটা কঠিন হবে। অনেক বেশী প্রত্যাশা নিয়ে আমরা খেলতে এসেছিলাম। কিন্তু সবকিছু শেষ হয়ে গেছে, যা সত্যিই আমাদের কষ্ট দিচ্ছে।’

প্রথমে ব্যাটিং  করে  অস্ট্রেলিয়া ২৮৬ রানের সংগ্রহ গড়ে তোলে। এরপর  ইংল্যান্ডকে ২৫৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এই পরাজয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এখনো টেবিলের তলানিতে রয়েছে, গ্রুপ পর্ব শেষ হতে হাতে রয়েছে আর মাত্র দুই ম্যাচ।

বাটলার বলেন, ‘আমরা হতাশ। আমার মনে হয় প্রতি ম্যাচের পর আমরা সবাই একই ধরনের আলোচনা করেছি। আমরা নিজেদের মানের প্রতি সুবিচার করতে পারিনি। এই টুর্ণামেন্টে আসার আগে যে ধরনের লক্ষ্য আমাদের ছিল তার কিছুই পূরণ করতে পারিনি। আমরা নিজেদের ছোট করেছি। ইংল্যান্ডের মানুষদের খাটো করেছি যারা কঠিন সময়েও আমাদের পাশে ছিল। এই ব্যর্থতার দায় আমরা নিজেদের কাঁধে নিচ্ছি।’

ব্যাট হাতে বাটলার মোটেই নিজেকে প্রমান করতে পারেননি। কাল মাত্র ১ রান করে  লেগ স্পিনার এ্যাডাম জাম্পার বলে  আউট হন। নিজের এই ফর্মহীনতার দায় স্বীকার করে বাটলার বলেন, ‘এটা নিশ্চিত অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে আমি দলকে নেতৃত্ব দিতে পারিনি। যা এবারের আসরে সম্ভবত সবচেয়ে হতাশার দিক। ব্যাটিং লাইন-আপে আমার একটি গুরুত্বপূর্ণ পজিশন রয়েছে। যে কারনে আমি যদি খারাপ খেলি সেটা দলের ফলাফলে অবশ্যই প্রভাব ফেলে।’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে করা ৪৩ রানই এবারের আসরে বাটলারের এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান। গত বছর তার নেতৃত্বে ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি  বিশ্বকাপ  শিরোপা জয় করেছিল। নিজের উপর  আস্থা আছে দাবী করে বাটলার বলেন, আমি এটা বলছি না নিজের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছি। কিন্তু কখনো কখনো বেশী হতাশা থেকে অনেক কিছুই সঠিকভাবে যায়না। আমি এখানে বিশেষ  করে নিজের কথাই বলতে চাই। নিজের খেলার উপর যদি আস্থা রেখে খেলতে পারি তবে অনেক কিছুই সম্ভব। এভাবে সব খেলোয়াড়ই নিজ নিজ জায়গা থেকে দলকে সহযোগিতা করতে পারে। পুরো দল আমার উপর অনেক বেশী আস্থা রেখেছে, যার প্রতিদান সবসময়ই দিতে চাই।’

আগামী ৮ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসের  মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড, ১১ নভেম্বর শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। এখন ইংল্যান্ডের সামনে একটাই লক্ষ্য, ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের  শীর্ষ সাত দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ পাবে, স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি খেলবে পাকিস্তান। 
বাটলার বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এমন একটি টুর্নামেন্ট যেখানে আমরা সবসময় খেলতে চাই। আর সেটা করতে হলে বাকি দুই ম্যাচে জিততে হবে।’

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ী অস্ট্রেলিয়া  পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে  ভালভাবেই সেমিফাইনালে দৌঁড়ে টিকে আছে। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেছেন, ‘এটা সত্যিই দারুন বিষয়। ছেলেরা দারুন খেলেছে, প্রতি ম্যাচেই আমরা জয়ের পথ খুঁজে পাচ্ছি। আমি মনে করি প্রতি ম্যাচেই আমরা উন্নতি করছি। যদিও এখনো আমার কাছে মনে হয় কোন ম্যাচেই আমরা পরিপূর্ণভাবে নিজেদের প্রমান করতে পারিনি।’

সূত্র :  বাসস