সংলাপের মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই : ড. কামাল

সংলাপের মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই : ড. কামাল

সংলাপের মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই : ড. কামাল

গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমিরেটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমি জাতীয় সংলাপের মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। সেটি হলে আমরা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

তিনি বলেন, দেশের জাতীয় ঐক্য আরো সুসংহত করে, সবার সাথে আলোচনা করে ঐকমত্যে এসে তারপর সবাইকে নিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার কথা চিন্তা করা উচিত। এ চেষ্টা আমরা করে যাব।Loaded: 5.96%

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে গণফোরাম আয়োজিত বিশেষ জাতীয় কাউন্সিল পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা ও বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. কামাল হোসেন বলেন, সব দলকে নিয়ে জাতীয় সংলাপের মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের কথা জানিয়েছি। বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শও দিয়েছি।

দেশের অবস্থা ভয়াবহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে এ অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব। ঐক্যের গুরুত্ব আমরা সবসময়ই দিয়ে থাকি। নীতি, আদর্শকে কেন্দ্র করেই ঐক্য। সে ঐক্যের ভিত্তিতে জনগণকে সাথে নিয়ে দেশকে বাঁচাতে যা করা দরকার, আমরা তা করে যাব।

বিদেশি হস্তক্ষেপে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে কি না, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আমাদেরই চেষ্টা করে যেতে হবে। দেশের এ পরিস্থিতিতে আমাদের মধ্য থেকেই এটি পরিবর্তনের চেষ্টা করে যেতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মফিজুল ইসলাম খান কামালকে সভাপতি এবং মো: মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে ড. কামাল হোসেনকে ইমেরিটাস সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে দলের নবনির্বাচিত সভাপতি মফিজুল ইসলাম খান কামাল বলেন, জাতির বিবেক ড. কামাল হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের সংগঠনের দৈনন্দিন কার্যকলাপে যুক্ত থাকতে পারছেন না। এজন্যেই আমরা তাকে ইমেরিটাস সভাপতি হিসেবে রেখেছি, তিনি সেটা গ্রহণ করেছেন। আমরা আশা করি, সবসময় তার কাছ থেকে পরামর্শ পাব এবং আমাদের প্রয়োজনে অবশ্যই তার কাছে যাব।

নির্বাচন অংশ নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে যাব কি যাব না, তা ভাবছি। আমরা পরিস্থিতি দেখছি, পরে আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেব যে আমরা কী করব। তবে গণফোরাম নির্বাচন বিমুখ নয়, নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল। যদি আমরা দেখি পরিস্থিতি সহায়ক, তাহলে আমরা অবশ্যই নির্বাচনে যাব। আর তা না হলে আমরা যাবো না। সেটা পরে জানাব।

দলের সাধারণ সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান বলেন, সমাবেশ, অবরোধ, হরতাল- এগুলো দেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকারের ওপর যেভাবে দমন-পীড়ন হচ্ছে, তা আমরা সমর্থন করি না। তফসিল ঘোষণার এক সপ্তাহ আগে দেশের যে পরিস্থিতি, তাতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ আমরা দেখছি না। সাংবাদিকেরাই যেখানে নিরাপদ নন, এখন সেখানে প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।সংবাদ সম্মেলনে দলের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।