বাদ পড়া হতাশ তবে আমরা গর্বিত: কিউই অধিনায়ক

বাদ পড়া হতাশ তবে আমরা গর্বিত: কিউই অধিনায়ক

সংগৃহীত

শ্বকাপের টানা দুই আসর ফাইনাল খেলেছেন। ‘এতো কাছে, তবু অনেকটা দূরে।’ নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন এমন কিছু নিজেকে বলতেই পারেন। ২০১৯ এর হারটা তো নিতান্তই দূর্ভাগ্যের। সুপার ওভারে টাই করেও বাউন্ডারির হিসেবে শিরোপা ঘরে তোলা হয়নি তাদের। ২০২৩ বিশ্বকাপটা শুরু করেছিল রাজকীয় উপায়ে।

সেখানেও কাঁটা পড়তে হলো সেমিফাইনালে। সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ে কিছুটা হতাশ হলেও ভারতের প্রশংসা করতে ভোলেননি উইলিয়ামসন, ‘চলে যেতে হতাশ লাগছে, তবে গত সাত সপ্তাহে আমাদের প্রচেষ্টার জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত। বুধবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ৩৯৮ রানের বিশাল টার্গেট তাড়ায় নিউজিল্যান্ড হেরে যায় ৭০ রানে। অথচ ম্যাচের বড় একটা সময় পর্যন্ত নিজেদের ঠিকই ধরে রেখেছিল কিউইরা।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে ড্যারেল মিচেলের সঙ্গে নায়কোচিত ১৮১ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। যদিও শেষ পর্যন্ত রূপকথা আর ঘটেনি। শামির ৭ উইকেটের স্পেলে ভর করে ফাইনালের টিকিট পায় ভারত। খেলা শেষে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, প্রথমেই ভারতকে অভিনন্দন জানাই, তারা অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে।

সম্ভবত তারা আজ নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলেছে। ৩৯৮ রান তাড়া করে জয় পাওয়া সত্যিই কঠিন ব্যাপার। তারপরও সতীর্থদের কৃতিত্ব দিতেই হয়, লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য গর্ব করার মত প্রচেষ্টা ছিল তাদের।

সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ে কিছুটা হতাশ হলেও ভারতের প্রশংসা করতে ভোলেননি উইলিয়ামসন, ‘চলে যেতে হতাশ লাগছে, তবে গত সাত সপ্তাহে আমাদের প্রচেষ্টার জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের চেষ্টা ছিল, তবে যেমনটা বললাম, ভারত ছিল টপ ক্লাস। তাদের বিশ্বমানের ব্যাটার আছে, যারা আমাদের কোন সুযোগই দেয়নি। আপনি ৪০০ করবেন, এটাই যথেষ্ট সাফল্যের জন্য। তারা যেখানে গিয়েছে, সেটা প্রাপ্য ছিল। অসাধারণ খেলেছে।