রাশিয়া-ইউক্রেনে প্রবল ঝড়ে নিহত ৪, বিদ্যুতহীন ২০ লাখ মানুষ

রাশিয়া-ইউক্রেনে প্রবল ঝড়ে নিহত ৪, বিদ্যুতহীন ২০ লাখ মানুষ

সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেনে প্রবল ঝড়ে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ঝড়ের কারণে বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েছেন দুই দেশের প্রায় ২০ লাখ মানুষ। ফ্রান্স২৪ ডটকম ও বিবিসির খবরে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

সোমবার প্রতিবেদনগুলোয় বলা হয়েছে, প্রবল ঝড়ের কারণে দুই দেশে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। শক্তিশালী বাতাস ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দাগেস্তান, ক্রাসনোদার ও রোস্তভের পাশাপাশি ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন, জাপোরিঝিয়া এবং ক্রিমিয়ায়। রাশিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

ঝড়টি মলদোভা, জর্জিয়া ও বুলগেরিয়ায় আঘাত হেনেছে।

ইউক্রেনে প্রবল তুষার ঝড়ে ২ হাজার ১৯ টি গ্রাম ও শহরে বিদ্যুৎ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর সোচির সমুদ্র উপকূলে বড় ও দীর্ঘ ঢেউ আঘাত হেনেছে। একটি তিনতলা ভবন ধসে পড়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর উপকূলে আনাপা শহরের কাছে ২১ জন ক্রুসহ একটি পণ্যবাহী জাহাজ ডুবে গেছে। মস্কোয় ব্যাপক ও ভারী তুষারপাত হয়েছিল। অবস্থা এতটাই বেগতিক হয়ে পড়েছিল, কর্তৃপক্ষকে রাস্তা পরিষ্কার করতে বিশেষজ্ঞ যন্ত্রপাতি নামাতে হয়েছিল।

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপে বন্যার তথ্য দেন সেখানকার মস্কো নিযুক্ত কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যায় বিভিন্ন শহরের রাস্তায় গাছ উপড়ে পড়েছে। বিভিন্ন কিছু ধ্বংস হয়েছে।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আন্তন হেরাশচেঙ্কো বলেছেন, ঝড় অধিকৃত ক্রিমিয়ার পরিখা ধুয়ে ফেলেছে। পরিখাগুলো রুশ সেনাবাহিনী সৈকতে খুঁড়েছিল। এ ব্যাপারে অবশ্য রাশিয়ার সেনাবাহিনী থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি। ইউক্রেনজুড়ে এখন পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে দেড় হাজারেরও বেশি উদ্ধারকারীকে মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ, সীমান্তরক্ষী এবং ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরাও তাদের সাহায্য করছেন।

ইউক্রেনের ডিএসএনএস জরুরি পরিষেবা বলেছে, তুষারঝড় ও প্রচণ্ড বাতাস দেশের ১৬টি অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ওডেসা অঞ্চলে আটকে পড়া যানবাহন থেকে শিশুসহ ৪৮ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিছু জায়গায় তুষারপাত ৬ দশমিক ৬ ফুটের বেশি হওয়ার কারণে ৮৪০টির মতো যানবাহনকে সরিয়ে নিতে হয়েছিল। অন্তত এক হাজার ৩৭০টি পণ্যবাহী লরি বর্তমানে আটকে আছে। অন্তত ছয়জন হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে ১৪টি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।