২৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ হার ইংল্যান্ডের

২৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ হার ইংল্যান্ডের

সংগৃহীত

দুঃসময় পিছু ছাড়ছে না ইংলিশদের। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার রেশ কাটেনি এখনো, এরই মাঝে সিরিজ হারের তিক্ত স্বাদ পেলো বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। বিপরীতে ২০০৭ সালের পর এই প্রথম থ্রি লায়ন্সদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল ক্যারিবীয়রা, ঘরের মাঠে ২৫ বছর পর।

বিশ্বকাপের গ্লানি দূর করে নতুন শুরুর লক্ষ্যে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে পা রাখে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে বিশ্বকাপ খেলতে পারার দুঃখ ঘুচানোর লক্ষ্য ছিল স্বাগতিকদের সামনে। ফলে সিরিজটি হয়ে উঠেছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে বিজয়ী ক্যারিবীয়রাই; সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে তারা।

ব্রিজটাউনে শনিবার বৃষ্টি বাঁধায় ম্যাচ নেমে আসে ৪০ ওভারে। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে ৪০ ওভারে ইংল্যান্ড তোলে ৯ উইকেট ২০৬ রান। বৃষ্টি আইনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪ ওভারে ১৮৮ রান। যা তারা ৪ উইকেট আর ১৪ বল হাতে রেখেই টপকে যায়। ২-১ ব্যবধানে সিরিজও নিজেদের করে নেয়।

টসে হেরে আগে ব্যাট করা ইংল্যান্ড শুরুতেই বড় ধাক্কা খায়। ৮ রানেই হারায় ওপেনার ফিল সল্ট ও তিন নম্বরে ক্রিজে আসা জ্যাক ক্রলির উইকেট। ৪৫ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার উইল জ্যাকস। আর অধিনায়ক জস বাটলার ফেরেন শূন্য রানে। ৯.৪ ওভারে ৪৯ রানেই ৫ উইকেট হারায় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

সেখান থেকে দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন বেন ডাকেট ও লিয়াম লিভিংস্টোন। গড়েন ৮৮ রানের জুটি। ৭১ রান করেন ডাকেট ও ৪৫ রানে ফিরেন লিভিংস্টোন। এরপরও ইংল্যান্ডের রান ২০০ পার হয় শেষ উইকেট জুটিতে ম্যাথু পটস ও গাস আটকিনসন ৩৫ রান যোগ করলে।

বল হাতে মাত্র ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ম্যাথু ফর্ড। সমান ৩ উইকেট নেন আলজারি জোসেফ ও জোড়া উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২ রানে প্রথম উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায়। ৭৬ রান যোগ করেন এলিক আথানেজ ও ক্যাসি কার্টি। ৫১ বলে ৪৫ করে ফেরেন আথানেজ। দলীয় ৯৯ রানে ফেরেন অধিনায়ক শাই হোপ (১৫)। এরপর দ্রুত আরো ৩ উইকেট হারায় তারা।

ফিফটি তুলে সমান ৫০ রানে আউট হন কার্টি। তখনো জয় থেকে ৫৫ রান দূরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে রোমারিও শেফার্ড ও ম্যাথু ফর্ড মিলে ঝড় তুলে মেলান এই সমীকরণ। শেফার্ড ২৮ বলে ৪১*, ফ্রড অপরাজিত থাকেন ১৩* রানে।