কাশ্মিরে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ নিয়ে কমিটি করার সুপারিশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির

কাশ্মিরে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ নিয়ে কমিটি করার সুপারিশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির

কাশ্মিরে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ নিয়ে কমিটি করার সুপারিশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির

জম্মু ও কাশ্মির থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পক্ষে রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ এ রায় দেন।তবে তারই মাঝে পৃথক রায় দিয়েছেন বেঞ্চের এক সদস্য বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা নিয়ে একমত হলেও কয়েকটি ভিন্ন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন তিনি।

জম্মু ও কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্তের জন্য বিশেষ কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছেন বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল।

আশির দশকে কাশ্মিরে বিচ্ছিন্নতাবাদের সমস্যা মাথাচাড়া উঠেছিল বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি কৌল। সেইসাথে তিনি জানান, সে কারণে কাশ্মিরি পণ্ডিতরা দেশের অন্য প্রান্তে চলে গিয়েছিলেন।

‘তিনি যখন ওই অঞ্চলে গিয়েছিলেন, তখন মানুষের যন্ত্রণা অনুভব করেছিলেন,’ বলেন কৌল।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের শত্রুর সাথে লড়াইয়ের জন্য আছে সেনাবাহিনী। কোনো রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা সেনাবাহিনীর ঠিক কাজ নয়। কিন্তু ওটা উদ্ভট সময় ছিল। (জম্মু-কাশ্মিরে) সেনা মোতায়েনের প্রভাব পড়েছিল। রাজ্যের অখণ্ডতা ও বিদেশীদের অনুপ্রবেশ রুখতে সেনাবাহিনী যা কাজ করেছিল, তার ফলে রাজ্যের পুরুষ, নারী ও শিশুদের মূল্য দিতে হয়েছিল।’

বিচারপতি কৌল বলেন, ‘সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ক্ষত নিরাময় করার প্রয়োজন আছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষ কষ্ট ভোগ করেছেন। আর ক্ষত নিরাময় করার প্রথম ধাপ হিসেবে রাষ্ট্র এবং সেটার ডালাপালা যে নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, সেটা স্বীকার করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘কমপক্ষে আশিক দশক থেকে রাষ্ট্র এবং অন্যদের কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ঘটনা ঘটেছে, তা তুলে ধরার জন্য এবং তদন্ত করার জন্য নিরপেক্ষ সত্য ও সমন্বয় সাধন কমিটি গঠনের সুপারিশ করছি। সেই কমিটি বিষয়টি সমাধানের জন্য বিভিন্ন সুপারিশ করবে।’

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস