বায়ার্নের কাছে হেরে ইউরোপ থেকে ইউনাইটেডের বিদায়

বায়ার্নের কাছে হেরে ইউরোপ থেকে ইউনাইটেডের বিদায়

সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো নিশ্চিতের জন্য বেশ কঠিন সমীকরণের মুখেই পড়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নক আউট পর্ব নিশ্চিত করতে শুধু গতকালের ম্যাচে জিতলেই হতো না ম্যানইউর, সেই সঙ্গে পক্ষে আসতে হতো অন্য একটি ম্যাচের ফলও। তবে এর একটিও হয়নি। ফলে ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে হারের পাশাপাশি বিদায় নিশ্চিত হয়েছে ইউরোপের দুই প্রতিযোগীতা থেকেও।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট নিশ্চিত করতে হলে ইউনাইটেডের জন্য মিলতে হতো দুইটি সমীকরণ। এক, ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে বায়ার্নের বিপক্ষে নিজেদের জয়, দুই, অন্য ম্যাচে গ্যালাতাসারাইয়ের বিপক্ষে কোপেনহেগেনের হার। কিন্তু এর একটিও না হওয়াতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যাত্রা থেমে গেল এরিক টেন হেগের শিষ্যদের।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে সবশেষ ম্যাচে বোর্নমাউথের বিপক্ষে হারের পর আজকের ম্যাচে বায়ার্নের বিপক্ষে জয়ই ছিল রেড ডেভিলদের একান্ত কাম্য। কিন্তু তা হয়নি। প্রথমার্ধে অবশ্য হ্যারি ম্যাগুয়াররা নিজেদের জাল ঠিকমতই রক্ষা করতে পেরেছিলেন। তবে গোলের দেখা পাননি ব্রুনো ফার্নান্দেজরা।

এদিকে ম্যাচের ৪০ মিনিটেই এদিন চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন ম্যাগুয়ার। এর মিনিট পাঁচেক পরই একই কারণে মাঠ ছাড়তে হয় রেড ডেভিলদের আরেক ডিফেন্ডার লুক শ। এদিকে গোল শূণ্য ড্র এর পর দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের দেখা পায়নি ইউনাইটেড। বায়ার্নের রক্ষণে তেমন কোনো চিড়ই ধরাতে পারেনি টেন হাগের শিষ্যরা।

এদিকে ইউনাইটেড গোল না পেলেও বায়ার্ন এগিয়ে যায় কিংসলে কোমানের গোলে। ৭০ মিনিটে হ্যারি কেইনের বাড়ানো বলে দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন কোমান। ফলে ফিকে হয়ে আসে ম্যানইউর জয়ের আশা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে রেড ডেভিলরা আর গোল করতে না পারায় মাঠ ছাড়তে হয় ১-০ গোলের হার নিয়েই।

এদিকে দিনের আরেক ম্যাচে একই সময়ে কোপেনহেগেনের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল গ্যালাতাসারাই। এই ম্যাচে তুরস্কের ক্লাবটির বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পেয়ে বায়ার্নের সঙ্গে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে কোপেনহেগেন। গ্রুপ পর্বে ৬ ম্যাচে মাত্র ১ জয় আর ১ ড্রতে ম্যান ইউ সংগ্রহ করতে পেরেছে মাত্র ৪ পয়েন্ট। ফলে গ্রুপের তলানিতে থাকায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বের পাশাপাশি ইউরোপা লিগের প্লে অফ খেলার স্বপ্নও ধূলিস্মাত হয়েছে ম্যানইউর।