আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, ওয়্যারলেস ছিনতাই

আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, ওয়্যারলেস ছিনতাই

ছবিঃ সংগৃহীত।

গাজীপুরের কালীগঞ্জে মামলার আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন থানা পুলিশের সদস্যরা।এ ঘটনায় আসামি ও তার পক্ষের লোকজন পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে দুই দফায় ৪ পুলিশ সদস্যকে আহত করে ওয়্যারলেস সেট ছিনিয়ে নিয়েছেন। এ সময় আত্মরক্ষার্থে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ।

 

এ ঘটনায় আহত এসআই মো. সাব্বির হায়দার শুভ বাদী হয়ে থানায় ৫ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা (নং ১৪) করেছেন। সেই মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী।

 

এর আগে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের ডেমরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেএ ঘটনায় পলাতক আসামি মোক্তারপুরের ডেমরা গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে আরিফ (৪০)। তিনি কালীগঞ্জ থানার ১২ (১২) ও ২৩ নং মামলার প্রধান আসামি। গ্রেফতাররা হলেন- ডেমরা গ্রামের জহিরুল হকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫০) ও মেয়ে হাফসা আক্তার (১৮)। তারা মূল আসামি আরিফুল হকের মা ও বোন।

 

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- উপপরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হায়দার শুভ, শামীম আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুলতান মাহমুদ ও কনস্টেবল নাইমুর রহমান। এদের মধ্যে সাব্বির, শামীম ও সুলতান প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক হলেও কনস্টেবল নাইমুর রহমানের অবস্থা গুরুতর। তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পরিদর্শক রাজীব চক্রবর্তী বলেন, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে এজাহারভুক্ত আসামি আরিফকে গ্রেফতার করতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাব্বির হায়দার শুভর নেতৃত্বে উপজেলার ডেমরা গ্রামে অভিযানে যায় পুলিশ। আরিফ বাড়িতে অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশকে বাধা দেয় তার পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি বাধে। এ সময় এসআই সাব্বিরের সঙ্গে থাকা ওয়্যারলেস সেট ছিনিয়ে নেন আসামি আরিফ।

 

ওয়্যারলেস সেট ফিরিয়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বললে আরিফসহ তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে ধাওয়া দেয়। এরপর থানায় খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পুনরায় আরিফকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে। সেসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আসামি পক্ষ কনস্টেবল নাইমুর রহমানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এছাড়া হামলার শিকার এসআই সাব্বির হায়দার শুভ, শামীম আল মামুন ও এএসআই সুলতান মাহমুদ সামান্য আহত হয়েছেন।

ঘটনার সময় পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় আরিফ পালিয়ে গেলেও তার মা ফাতেমা বেগম ও বোন হাফসাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পলাতক বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।