চুয়াডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলা, আটক ৫

চুয়াডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলা, আটক ৫

সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বসুভান্ডারদহ এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের দিলীপ কুমার আগরওয়ালার প্রচারণায় বাধা দেওয়া ও গাড়িবহর গতিরোধ করে প্রার্থীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১টায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গতকাল শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় সরোজগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের কর্মরত পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। ঘটনার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান চুয়াডাঙ্গা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা এবং চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।

আটকরা হলেন- সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক (৪০), নতুন ভান্ডারদহ গ্রামের মৃত খয়ের উদ্দিনের আব্দুল্লাহ আল ফারুক (৪৫), একই গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন (২১), যুগীরহুদা গ্রামের সোলায়মান আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৪৫), ফুলবাড়ী গ্রামের আছাদুলের ছেলে জেহের আলী (২২)।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান জানান, প্রতিদিনের ন্যায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের ঈগল প্রতীকের প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের নতুন ভান্ডারদহ গ্রামে নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করতে যান। এ সময় তার দলীয় নেতাকর্মী-সমার্থকদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণাকালে নৌকা প্রতীকের সমর্থক কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক তার নেতাকর্মীসহ নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে ঈগল প্রতীকের প্রচারণায় বাধা প্রদান করেন এবং ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের আক্রমন করেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জেলা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন এবং অপ্রীতিকর ঘটনারোধ করতে ঘটনাস্থল থেকে নৌকা প্রতীকের সমর্থক আলী আহমেদ হাসানুজ্জামান মানিকসহ ৫ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপর ঈগল প্রার্থীর সমর্থকের অভিযোগের ভিত্তিতে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১২০ জনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।