কুড়িগ্রামে শীতে জনজীবনে স্থবিরতা

কুড়িগ্রামে শীতে জনজীবনে স্থবিরতা

সংগৃহীত

কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। আর এ ঠান্ডায় বিশেষ করে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন পড়েছে চরম বিপাকে। গত ৬ দিন ধরে দিনভর সূর্যের মুখ দেখা যায় না। ফলে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে এ জেলার মানুষজন। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগামী শিক্ষার্থীরা শীতের সকালে স্কুলে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। সোমবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অনেক পরিবহণে দিনের বেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। এদিকে প্রচন্ড ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগে রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। সদরের শুলকুর বাজার এলাকার ফুলজান বেগম জানান, অতিরিক্ত ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারি না।হাত পা সহজে গরম হতে চায় না।

শহরের জিয়া বাজার এলাকার কাচামাল ব্যবসায়ী বাবু মিয়া জানান, গত ৭-৮ দিন থেকে ঠান্ডার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাজারে লোকজন কমে গেছে। তাই আমাদের বিক্রিও অনেক কমে গেছে। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা: আতিকুর রহমান জানান, এ মুহূর্তে হাসপাতালে শীতজনিত রোগী বাড়ছে। তবে আমরা ডায়রিয়া রোগীদের স্যালাইনসহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবা যথাযথভাবে প্রদান করছি।