প্রচন্ড ঠান্ডায় পাবনায় সব প্রাইমারী ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল বন্ধ রয়েছে

প্রচন্ড ঠান্ডায় পাবনায় সব প্রাইমারী ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল বন্ধ রয়েছে

প্রচন্ড ঠান্ডায় পাবনায় সব প্রাইমারী ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল বন্ধ রয়েছে

তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে সোমবার পাবনার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মোঃ নাজমুল হক জানান, সোমবার জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ জেলা জুড়ে চলছে এবং আরো কিছুদিন এটি এই মাসে অব্যাহত থাকতে পারে, তিনি বলেছেলেন।পাবনায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ জানান, সকালে জেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ  ঘোষণা করা হয়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা জানান, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় রোববার থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রোস্তম আলী হেলালী জানান, সব মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোমবার থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সব উপজেলা শিক্ষা অফিসকে জানানো হয়েছে।

১৬ জানুয়ারী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর একটি সার্কুলার জারি করে বলেছে যে কোন জেলার শিক্ষা কর্তৃপক্ষ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে স্কুল বন্ধ করে দিতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,‘ দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কোনো জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে আ লিক উপ-পরিচালকরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারবেন।

এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এক নির্দেশনায় জানায়, তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হলে স্কুল-কলেজের মতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ও বন্ধ থাকবে। কোনো জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রির নিচে নামে, সেক্ষেত্রে সেই জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হবে।

উল্লেখ্য, পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য মতে-সোমবার (২২ জানুয়ারি) ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ডিগ্রি। এর আগে রোববার (২১ জানুয়ারি) এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস‌।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে পাবনা অ লে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। কোন কোন দিন কুয়াশা না থাকলেও খুব ঠান্ডা পড়ছে। ফলে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকে শীত নিবারণ করছেন। প্রচন্ড শীতের মধ্যেই কাজ করছেন মাটি কাটা শ্রমিক, ভ্যান-রিক্সা চালক ও দিনমজুর থেকে নিম্নআয়ের বিভিন্ন পেশাজীবীরা।

জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎকরা শীতজনিত রোগ  থেকে দূরে থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। পাবনার জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র  চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।