কুড়িগ্রামে ফের তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

কুড়িগ্রামে ফের তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

ফাইল ছবি

কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় গত এক সপ্তাহ যাবত জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। কোনো মতেই যেন জেলায় শীতের ঠান্ডার তাণ্ডব কমছে না। প্রতিদিন সন্ধ্যা হওয়ার আগে ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার প্রকোপ শুরু হয়। পরদিন সকাল পর্যন্ত এ প্রকোপ থাকে। ফলে হাড় কাপানো শীতে নাজেহাল হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ। 

বুধবার রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এবং পরে তা ফের আরো কমে সকাল ৯টায় দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফলে জেলায় গতকাল মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ থাকলেও তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে আজ মৃদু শৈত্য প্রবাহ বইছে। 

এ কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত কয়েকদিনের মাতো আজও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এনিয়ে জেলার এ পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৫ দিন ধরে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। 

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন জানান, শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক শৈত্য প্রবাহ বিরাজ করায় এবং ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে জেলায় তাপমাত্রা থাকায় গত কয়েকদিন ধরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। প্রাথমিকে ১০ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা আসলে সকাল ৯টার পরিবর্তে সকাল ১০টায় শুরু করার নির্দেশনা রয়েছে।

এদিকে প্রচন্ড শীতে উত্তরের এ জনপদে এখন জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতার্ত মানুষ শীত নিবারণে খড়কুটো জ্বালিয়ে তাপ নেয়ার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি। অতিরিক্ত ঠান্ডায় এসব মানুষের আয় রোজগারে ভাটা পড়েছে।

অন্যদিকে হাসপাতালগুলোতে শীতে নদনদীর চরাঞ্চলের মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে। এদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী প্রতিদিন ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।