‘কানাডার নির্বাচনে ভারত নাক গলাতে পারে’, জাস্টিন ট্রুডোর গুপ্তচর বাহিনীর রিপোর্ট

‘কানাডার নির্বাচনে ভারত নাক গলাতে পারে’, জাস্টিন ট্রুডোর গুপ্তচর বাহিনীর রিপোর্ট

‘কানাডার নির্বাচনে ভারত নাক গলাতে পারে’, জাস্টিন ট্রুডোর গুপ্তচর বাহিনীর রিপোর্ট

আবার ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে কানাডা। খালিস্তানি উগ্রবাদী খুনের পরে এবার সে দেশের ভোটে হস্তক্ষেপের সম্ভাবনার ‘দায়ে’। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের অভিযোগ, তাদের ভোটে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করতে পারে নয়াদিল্লি।

কানাডার সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল নিউজ’ সে দেশের গুপ্তচর সংস্থা (সরকারি ভাষায়, ‘বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা’) ‘কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস’-এর একটি রিপোর্ট ফাঁস হয়েছে। ওই রিপোর্টে দাবি, কানাডার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ‘অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ’ করতে পারে ভারত। ওই সম্ভাবনা সত্যি হলে তা কানাডার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে ক্ষতিকর হবে বলেও জানানো হয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্টে। উল্লেখ্য, এর আগে ‘কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস’-এর রিপোর্টে রাশিয়া এবং চীনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তোলা হয়েছিল।

এই ঘটনার জেরে পাঁচ মাস পরে আবার ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সংঘাতের আবহ তৈরি হলো বলেই মনে করা হচ্ছে। কানাডা সরকারের ওই সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতেই গত ১৮ সেপ্টেম্বর খালিস্তানি উগ্রবাদী হরদীপ সিংহ নিজ্জরের খুনের জন্য কানাডার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতকে টার্গেট করেছিলেন ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। গত জুন মাসে খালিস্তানপন্থী সংগঠন ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্স’ (কেটিএফ)-এর প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়। ওই ঘটনার তদন্তে ভারতের গুপ্তচর সংস্থার ভূমিকা ছিল বলে জানিয়ে ট্রুডো বলেছিলেন, ‘আমাদের তদন্তকারী সংস্থাগুলো এ বিষয়ে আরো বিশদে তদন্ত করছে।

ট্রুডোর ওই মন্তব্যের পরেই নয়াদিল্লি-অটোয়া কূটনৈতিক সংঘাত তুঙ্গে উঠেছিল। প্রথমে কানাডার এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়। ওই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি জানিয়েছিলেন, ওই ব্যক্তি ‘র’-এর কানাডার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলাতেন। ওই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় নরেন্দ্র মোদি সরকার কানাডার এক শীর্ষ কূটনীতিককে পাঁচ দিনের মধ্যে দিল্লি ছাড়ার নির্দেশ দেয়।

পাশাপাশি, নিজ্জর খুনের ঘটনায় দায় অস্বীকার করে ভারত। পরবর্তী পদক্ষেপে কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়। যার প্রতিক্রিয়ায় ট্রুডো সরকার ভারতে অবস্থানকারী কানাডার নাগরিকদের উদ্দেশে ‘বিশেষ নিরাপত্তামূলক সতর্কতা’ জারি করে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা