প্রতারণার অভিযাগে গ্রেফতার ২

প্রতারণার অভিযাগে গ্রেফতার ২

প্রতিকী ছবি

স্বামী কোনো নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করতেন, তার ভিডিও গোপনে ধারণ করতেন স্ত্রী, আবার স্ত্রী কোনো পুরুষকে ফাঁদে ফেলে তার সঙ্গে মিলিত হতেন, সেটি ধারণ করতেন স্বামী। এমনই প্রতারণার ফাঁদ পেতে ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। অবশেষে এক নারীকে ব্লাকমেইল করে টাকার পরিবর্তে জমি লিখে নিতে গিয়ে র‌্যাবের জালে আটকা পড়েছেন স্বামী-স্ত্রী। রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা এলাকা থেকে দুই সহযোগীসহ ওই দম্পতিতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে ওই প্রতারকদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন নগরীর বোয়ালিয়া থানার হেতেমখাঁ সবজিপাড়া এলাকার আলমগীর রয়েল (৪০), তার স্ত্রী হেলেনা খাতুন (৩০), হেলেনার বড় বোন দিলারা বেগম (৩৫) ও তাদের সহযোগী চন্দ্রিমা থানার মমতাজ বেগম (৪২)।

র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী নারী কেনাকাটার উদ্দেশ্যে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন এলাকায় যান। সেখানে তার মোবাইল ফোন চুরি যায়। এসময় পূর্বপরিচিত হওয়ায় আলমগীর সেই নারীকে মোবাইল পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নগরীর একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সুযোগ বুঝে তাকে ধর্ষণ করে।

র‌্যাব অধিনায়ক আরও জানান, ওই বাড়িতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন আলমগীরের স্ত্রী হেলেনা খাতুন, তাদের সহযোগী দিলারা বেগম ও মমতাজ বেগম। তারা গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারন করেন। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। সেই সঙ্গে ওই নারীকে তারা আটকে রাখে।

ওই নারীর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে র‌্যাবের একটি দল। এ সময় ওই বাড়ি থেকে আলমগীর ও তার স্ত্রী হেলেনাসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। 
র‌্যাব জানায়, নারী-পুরুষকে ফাঁদে ফেলে ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ ও জমিজমা লিখে নিতেন স্বামী-স্ত্রীর এই চক্রটি। র‌্যাব বলছে, দীর্ঘদিন থেকে নগরীর অভিজাত এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে এমন কাজ করে আসছিল চক্রটি।