ইজতেমায় জিকিরে মশগুল মুসল্লিরা, বিকেলে যৌতুক বিহীন গণবিয়ে

ইজতেমায় জিকিরে মশগুল মুসল্লিরা, বিকেলে যৌতুক বিহীন গণবিয়ে

ফাইল ছবি

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের ২য় দিন আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি)। ময়দানে জিকিরে ও বয়ানে মশগুল রয়েছেন মুসল্লিরা। ভোরে ফজরের নামাজের পর চলছে ধর্মীয় বয়ান। ফজরের পরে বয়ান করছেন ভারতের মাওলানা সাঈদ বিন সাদ। বাংলা তরজমা করছেন মুফতি ওসামা ইসলাম। আসরের নামাজের পর অনুষ্ঠিত হবে যৌতুক বিহীন গণবিয়ে।

আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে শুরু হবে আখেরি মোনাজাত। আর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সাদপন্থীদের তাবলীগ জামাতের এবারের বিশ্ব ইজতেমা।

ইজতেমার আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, ইজতেমা ময়দানের ৮৯টি খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন দেশ-বিদেশি লাখো মুসল্লি। ফজরের নামাজের পর পিনপতন নিরবতায় ধর্মীয় বয়ান শুনছেন তারা। বয়ানের পর এগুলো থেকে নেওয়া শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি খিত্তায় দল বেঁধে নিজস্ব আমিরের (দলনেতা) নেতৃত্বে হবে আলোচনা।

সকাল সাড়ে ১০টায় তালিমে হালকা মোয়াল্লেমেরদের নিয়ে কথা বলবেন মাওলানা আব্দুল আজিম।

তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বিরা আরবি, উর্দু ও হিন্দিতে বয়ান করলেও তাৎক্ষণিকভাবে এগুলো বাংলা, ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া যারা তাবলীগের দাওয়াতী কাজে বের হবেন খিত্তা অনুযায়ী তাদের তালিকাভুক্ত করা হবে।

ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বলেন, ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে যোহরের নামাজের পরে বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা শরিফ, বাংলা তরজমায় মাওলানা মাহমুদুল্লাহ, আসরের পরে বয়ান করবেন পাকিস্তানের মাওলানা ওসমান, বাংলা তরজমায় মাওলানা আজিম উদ্দিন। বয়ানের পরে অনুষ্ঠিত হবে যৌতুক বিহীন গণবিয়ে।

তিনি বলেন, মূল বয়ান মঞ্চের পাশে শরীয়া আইন অনুযায়ী কনের অনুপস্থিতিতে তার অভিভাবক, বর ও আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে এ বিবাহ অনুষ্ঠিত হবে। মাগরিবের পরে বয়ান করবেন ভারতের মুফতি ইয়াকুব, বাংলা তরজমায় মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।

রোববার ফজরের পরে বয়ান করবেন ভারতের মুফতি মাকসুদ, বাংলা তরজমা করবেন মাওলানা আব্দুল্লাহ। বয়ানের পরেই হেদায়াতি বয়ান ও দোয়া  অনুষ্ঠিত হবে। মজলিশে শূরার সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।

এদিকে, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ১৫ হাজার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ময়দানের ভেতরে ও বাইরে কাজ করছে। সিসিটিভি ও ওয়াচ টাওয়ার দিয়ে পুরো ময়দান ও আশেপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া জেলা প্রশাসন, সরকারের বিভিন্ন দফতরের লোকজন সমন্বিতভাবে কাজ করছেন।