বদরগঞ্জে ৭ ডাকাত গ্রেফতার

বদরগঞ্জে ৭ ডাকাত গ্রেফতার

প্রতিকী ছবি

রংপুরের বদরগঞ্জে রাস্তায় গাছ ফেলে পুলিশের এসআইসহ ৪ পথচারীকে মারপিট করে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিনভর বদরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতারসহ ডাকাতি করা ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হল বদরগঞ্জ উপজেলার আমরুলবাড়ি এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে মোস্তাকিন আলী (৩১), আব্দুল মাবুদের ছেলে মিলন মিয়া (২৩), আব্দুল করিমের ছেলে তাহের মিয়া (৩০), কালুপাড়া এলাকার সাইদার রহমানের ছেলে শাহজাহান আলী (৫০), তালুক দামোদরপুর বানুয়াপাড়া এলাকার সাহার আলীর ছেলে মোরশেদুল আলী ওরফে মোরশেদ (২৮), দলুয়া পূর্বপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে নুর নবী (২৯) এবং গোপালপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে আবু কাশেম (৫৬)।

গ্রেফতারকৃত শাহজাহান আলী ও মোরশেদুল আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার ইফতে খায়ের আলম।

গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর বদরগঞ্জ উপজেলার বদরগঞ্জ-লালদিঘিগামী সড়কে ৭ থেকে ৮ জন ডাকাত দল রাস্তায় গাছ কেটে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রথমে ডেকোরেটর ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও লাইটিং মিস্ত্রি অরুপ রায়ের মোটরসাইকেল রোধ করে তাদের মারপিট করে মোবাইলসহ সাথে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। সেই সাথে তাদের হাত-পা বেঁধে রাস্তা থেকে পার্শ্ববর্তী সেচ পাম্পের কাছে ফেলে রাখে। এর দশ মিনিট পর এসআই মেহেদী হাসানকে একই জায়গায় পথরোধ করে তাকে মারপিটসহ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং হাত-পা বেঁধে রাস্তার পাশে ক্ষেতের আইলে ফেলে রাখে।

এর কিছুক্ষণ পর একই কায়দায় শরিফুল ইসলামও ডাকাতের কবলে পড়েন।এরই মধ্যে পুলিশের টহল টিম ঘটনাস্থলে আসলে ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতি করা ৩টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১১ হাজার ৩শ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ সদস্যরা ডাকাতের কবলে পড়া ৪ জনকে উদ্ধার করে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ডেকোরেটর ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ডাকাত দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে বদরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম বলেন, থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ সদস্যরা আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করে। ডাকাত দলের সদস্যরা অত্যন্ত চালাক। আমরা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারসহ গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে ৭ জনকে
গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছি। ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।