ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা

প্রতীকী ছবি

 

বুধবার (২৮  ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে রোহিঙ্গা নাগরিক ছৈয়দ নুর বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ভাসানচর থানা মামলা নং-২।                    

মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে সফি আলম (২৪) নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিককে। সে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. তৈয়বের ছেলে এবং ৮১নং ক্লাস্টারের বাসিন্দা ছিল।                                                                                                                    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প-৩ এর ৮১নং ক্লাস্টারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা সফি আলম (২৪)।  গত (২৪ ফেব্রুয়ারি) তার পরিবারে এনজিও থেকে এলপিজি গ্যাস পাওয়ার কথা ছিল। এজন্য ওই দিন সকাল সাড়ে ৮টার সফি আলম তার পরিবারে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারে কিছু গ্যাস অবশিষ্ট থেকে যাওয়ায়, নতুন গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়ার আশায় রুমের বাহিরে বারান্দায় তাদের ব্যবহৃত সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ছেড়ে দেয়। একই সময়ে ক্লাস্টার নং-৮১, পাশের রুম নং-ই/ ৭ এর আবদুস শুক্কুরের স্ত্রী আমিনা খাতুন এবং অপর পাশে রুম নং-ই/০৫ এর আব্দুল হাকিমের মেয়ে শমসিদা গ্যাসের চুলায় রান্না করতেছিল। 

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, সফি আলম ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ছেড়ে দেওয়ায় গ্যাস বায়ুর সাথে মিশে ক্লাস্টারের বিভিন্ন রুমে ছড়িয়ে পড়ে এবং রান্নার আগুনের সাথে মিশে রুম নং-৩,৫,৬,৭,৮ সহ বারান্দায় ও রুমে আগুন লেগে যায়। ফলে রোহিঙ্গা শিশু রবি আলম (৫)  সোহেল (৫) রাসলে (৪) মুবাসিরা (৩) রশমিদা(৩) ও আমনো আক্তার (২৬) জুবায়দা (২৩)  বশির উল্লাহ (১৭) সফি আলম (২৪) সহ আরো কয়কেজন অগ্নিদগ্ধ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সহ স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  তিনি বলেন, সফি আলম সাবধানতা অবলম্বন না করিয়া অবহেলাজনিত তাচ্ছিল্যপূর্ণ কারণে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।