শুক্রবার প্রতিবাদী সমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ

শুক্রবার প্রতিবাদী সমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ

ফাইল ছবি

কর্মসূচি পালনকালে পুলিশি হামলা এবং গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদী সমাবেশ করবে প্রতিষ্ঠানটি। 

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থবিষয়ক সমম্বয়ক দিদারুল ভুঁইয়া। সংবাদ সম্মেলনে প্রারম্ভিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার যে পুলিশের মাধ্যমে দমন-পীড়ন করেই তার লুণ্ঠনের রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে চায়, তার প্রকৃত উদাহরণ গতকালের হামলা। এই মুহূর্তে জনগণের প্রাণের দাবি—দ্রবমূল্য কমাতে হবে। সেই দাবিতে করা সমাবেশে পুলিশ নির্বিচার হামলা করে। ভয়-ভীতি দেখিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে দমিয়ে রাখতে চায়। 

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সত্যের অপলাপ। তিনি এই ডামি সিন্ডিকেটের, অগণতান্ত্রিক সরকারের গদি রক্ষার্থে এখন সব বিষয়েই কথা বলা শুরু করেছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানোর দাবির শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে বিষয়ে তিনি বলছেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নাকি করা হয়েছে। মন্ত্রীর এই মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। 

তারা বলেন, লুটপাটের সাথে জড়িত সিন্ডিকেট টিকিয়ে রাখতেই যে উনারা এত মরিয়া হয়ে আবোলতাবোল বলছেন, গতকালের হামলাই সেটা প্রমাণ করে। আমরা বহুবার বলেছি, সিন্ডিকেটের মূল হোতা এই সরকার। ফলে, তারা সিন্ডিকেট টিকিয়ে রাখছে।

নেতারা আরও বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, হামলা-নির্যাতন করে জনগণের সংগ্রাম থামানো যাবে না। এই সংগ্রাম আরো শক্তি ধারণ করে এই লুটেরা সরকারকে উচ্ছেদ করে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে।