কেনিয়া ও হাইতির মধ্যে নিরাপত্তা চুক্তি

কেনিয়া ও হাইতির মধ্যে নিরাপত্তা চুক্তি

ছবি : সংগৃহীত

কেনিয়া ও হাইতি শুক্রবার একটি নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নাইরোবি আশা করছে, চুক্তির অধীনে অশান্ত ক্যারিবিয়ান দেশটিতে অপরাধী চক্রের সহিংসতা মোকাবিলায় জাতিসংঘ সমর্থিত শান্তিরক্ষা মিশনের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য এক হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে পাঠানোর পরিকল্পনার বিষয়ে দেশীয় আদালতের আপত্তি পূরণ করবে।

আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য পোর্ট-অব-প্রিন্স এবং জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কেনিয়া প্রথমে স্বেচ্ছায় হাইতিতে এক হাজার পুলিশ কর্মকর্তা পাঠায়। খবর এএফপির

কেনিয়ার উচ্চ আদালত জানুয়ারিতে এই পদক্ষেপটি আটকে দিয়ে বলেছিল, এটি অসাংবিধানিক এবং যদি দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক চুক্তি হয় তাহলেই কেবল এটি এগিয়ে যেতে পারে।

শুক্রবার নাইরোবিতে এক অনুষ্ঠানে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো এবং হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি বলেন, দুই দেশের সরকার একটি পারস্পরিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যাতে এই সেনা মোতায়েন এগিয়ে নেয়া যায় এবং দ্রুত মোতায়েন জন্য পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

রুটো বলেন, আমরা মনে করি, এটি একটি ঐতিহাসিক কর্তব্য। কারণ হাইতিতে শান্তি আসা সামগ্রিকভাবে বিশ্বের জন্য মঙ্গলজনক।

পোর্ট-অব-প্রিন্স জুড়ে এক দিনব্যাপী বন্দুক সহিংসতার পর এই ঘোষণা এলো। খবরে বলা হয়েছে, একটি থানা, একটি পুলিশ একাডেমি এবং টুসেন্ট-লুভার্চার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে লক্ষ্যবস্তু করা অপরাধীচক্রের সদস্যদের সাথে কর্তৃপক্ষের লড়াই হয়েছে।

সহিংসতার কারণে বিমানবন্দর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি সংস্থা ও বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরিবারগুলো আতঙ্কে রাস্তায় দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে।

বারবিকিউ ডাকনামে পরিচিত অপরাধী চক্রের নেতা জিমি চেরিজিয়ার একটি ভিডিও বিবৃতি জারি করে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী হেনরিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি সমন্বিত আক্রমণ চলছে।