এক যুগ পর রাসায়নিক গুদামের ট্রেড লাইসেন্স দিলো দক্ষিণ সিটি

এক যুগ পর রাসায়নিক গুদামের ট্রেড লাইসেন্স দিলো দক্ষিণ সিটি

সংগৃহীত

নিমতলী ও চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের পর পুরান ঢাকা থেকে শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হওয়ায় একটি প্রতিষ্ঠানকে ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর ফলে দীর্ঘ এক যুগ পর রাসায়নিক গুদাম হিসেবে প্রথম কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য করার অনুমতি দিলো দক্ষিণ সিটি।

রোববার (৩ মার্চ) ডিএসসিসির জনসংযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক রাজধানীর শ্যামপুরে বাস্তবায়িত ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য নির্মিত গুদাম’ প্রকল্পে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রেক্ষিতে ‘মেসার্স রয়েল টন লেকার কোটিং’ নামে রাসায়নিক প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসার অনুমতি নবায়নের আবেদন করা হলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানকে নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্স দেয় ডিএসসিসি।

এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘শ্যামপুরে গুদাম স্থানান্তরিত করায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, তাদের পথ অনুসরণ করে সব রাসায়নিক গুদাম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও সেখানে স্থানান্তরিত হবে। নিরাপদ হবে আমাদের পুরান ঢাকার সামগ্রিক পরিবেশ।’

রাসায়নিক গুদাম যারা স্থানান্তরিত করবে না, পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শ্যামপুরে অস্থায়ী ভিত্তিতে যে রাসায়নিক গুদামগুলো নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে অগ্নিনির্বাপনের আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া খোলামেলা পরিবেশ থাকায় সেখানে ঝুঁকির মাত্রাও অনেক কম। পাশাপাশি এসব রাসায়নিক গুদাম ও প্রতিষ্ঠানকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ৩১০ একর জায়গার ওপরে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, তা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।’

মিজানুর রহমান আরও বলেন, জননিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টিকারী এসব রাসায়নিক গুদাম ও প্রতিষ্ঠান যদি সেখানে স্থানান্তরিত না হয়, তাহলে আমরা সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব।