স্ত্রীকে খুন করে নিজেই ডাকলেন পুলিশ

স্ত্রীকে খুন করে নিজেই ডাকলেন পুলিশ

ছবিঃ সংগৃহীত।

স্ত্রীকে খুন করে নিজেই পুলিশ ডাকলেন এক ব্যক্তি। তবে তার আগে ঠাণ্ডা মাথায় সেরে নেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এরপর নিজেই ১০০ নাম্বারে ডায়াল করে খবর দেন কলকাতা পুলিশকে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে পুলিশ এসে দেখেন নিহতের পাশে চুপচাপ বসে আছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার বেহালার রাজা রামমোহন রায় রোডের একটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার মধ্যরাত রাত ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ধারণা, দুই সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তার স্বামী। তবে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি পুলিশকে খবর দেননি।

পুলিশ জানিয়েছে, খুন হওয়া ওই নারীর সমাপ্তি দাস। বয়স ২৮ বছর। তার স্বামীর নাম কার্তিক দাস। বয়স ৪১ বছর। দুজনের একটি ১২ বছরের কন্যা এবং ৫ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। গত এক বছর ধরে বেহালার রাম মোহন রায় রোডের বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন তারা। তবে বৃহস্পতিবার কার্তিকের ফোন পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁর দুই সন্তানকে ওই বাড়িতে দেখতে পায়নি।

রাত ১টার দিকে ওই ঘটনার ঘটার অনেক পরে পুলিশকে খবর দেন কার্তিক। পুলিশ আসার সময়ও তিনি বসেছিলেন স্ত্রীর পাশেই। তবে মাঝের সময়টিকে তিনি কিছু কাজ করেছেন। প্রথমেই পুত্র এবং কন্যাকে বাড়ি থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে গেছেন। পুলিশের ধারণা, ঘটনাস্থল গুছিয়েই পুলিশকে সকালে খবর দেন কার্তিক। তারপরেই আবার এসে বসেন স্ত্রীর মৃতদেহের পাশে। পুলিশ এলে সেখানেই তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে নেন। পুলিশকে কার্তিক জানান, তিনিই হত্যা করেছেন তার স্ত্রীকে।

পুলিশ কার্তিকের বয়ান নথিভুক্ত করার পর তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অপরদিকে, সমাপ্তির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ময়না তদন্তের জন্য। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওই দম্পতির আত্মীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। কেন দুই সন্তানের মা সমাপ্তিকে খুন করলেন কার্তিক, তাদের মধ্যে কোনও অশান্তি চলছিল কি না, এসব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কার্তিকদের প্রতিবেশীদেরও এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।