পুলিশ-সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপপ্রয়াস চলছে

পুলিশ-সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপপ্রয়াস চলছে

ফাইল ফটো

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যার ঘটনার পর একটি স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপপ্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে। এসব অপপ্রচার চলমান বিচারিক ও প্রশাসনিক অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ পরিদর্শকদের সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন।

সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজধানীর বিমানবন্দর থানার ওসি বিএম ফরমান আলী এবং সাধারণ সম্পাদক ও যাত্রাবাড়ি থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমে এ বিবৃতিটি পাঠান।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সুদীর্ঘকাল পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক বিদ্যমান। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশ বাহিনীকে বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য করার জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সিনহা হত্যার ঘটনার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। এর মাধ্যমে দুটি ঐতিহ্যবাহী ও ভ্রাতৃপ্রতিম বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে।

এ অপপ্রচার চলমান বিচারিক ও প্রশাসনিক অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হযে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জনবান্ধব ও গণমুখী পুলিশ ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে সব ধরনের সহযোগিতা ও উৎসাহ অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান রাখছে।

৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফে মেজর (অব.) সিনহা নিহতের ঘটনাকে অপ্রত্যাশিত, অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

এতে আরো বলা হয়, এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির তদন্ত চলাকালীন নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে র‌্যাব তদন্ত করছে।

 আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। ৫ আগস্ট সেনাপ্রধান ও পুলিশপ্রধান কক্সবাজারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তখন তারা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত পরিবেশে তদন্ত সম্পন্নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ব্যক্তির কোনো দায় প্রতিষ্ঠান বহন করবে না মর্মে তারা ঘোষণা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।