জয় দিয়েই ওয়ানডে সিরিজ শুরু করতে চায় টাইগাররা

জয় দিয়েই ওয়ানডে সিরিজ শুরু করতে চায় টাইগাররা

সংগৃহীত

জয় দিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর লক্ষ্যে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে ম্যাচটি।

এর আগে, দুই দলের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে লঙ্কানরা। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ রানে রোমাঞ্চকর জয় পায় সফরকারীরা। দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরে বাংলাদেশ।

তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পেসার নুয়ান থুসারার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশকে ২৮ রানে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। সিরিজে প্রথম খেলতে নেমে ২০ রানে ৫ উইকেট নেন থুসারা।

এদিকে ইনজুরি আক্রান্ত মাথিশা পাথিরানার জায়গায় ওয়ানডে সিরিজের দলে সুযোগ পেয়েছেন থুসারা। এজন্য থুসারাকে সামলানোর পরিকল্পনা নিয়ে ওয়ানডে খেলতে নামতে হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।

বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ভাষ্য, আত্মবিশ্বাস পেতে হলে আমাদের ভালো শুরু করতে হবে। আশা করি, আমরা নিজেদের সেরা পারফরমেন্স দেখাতে পারবো।

এদিকে দুই দলের মধ্যকার সর্বশেষ ওয়ানডেটি ‘টাইম আউট’ ঘটনায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এবং পরবর্তীতে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও প্রভাব ফেলে এটি। প্রথম ম্যাচে লঙ্কান ওপেনার আবিস্কা ফার্নান্দোকে আউট করে ‘টাইম আউট’র অঙ্গভঙ্গি দেখিয়ে সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনেন বাংলাদেশের পেসার শরিফুল ইসলাম।

পুরো সিরিজে দুই দলের খেলোয়াড়দের শারীরিক ভাষা ও সম্পর্ক যথেষ্ট সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল না। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আউট হবার পর লঙ্কান খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় তাওহীদ হৃদয়ের। পরবর্তীতে সিরিজ জয় নিশ্চিত হবার পর প্রতিপক্ষকে খোঁচা মেরে ‘টাইম আউট’ উদযাপন করে সফরকারীরা। যা বাংলাদেশ শিবিরে ক্ষোভের জন্ম দেয়।

টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে শান্তর দাবি, ‘টাইম-আউট’ ঘটনা থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি শ্রীলঙ্কা, তবে তাদের বেরিয়ে আসা উচিত।

শান্তর ভাষ্যমতে, আমি মনে করি, এটি থেকে তাদের বেরিয়ে আসা উচিত। তাদের বর্তমানে থাকা উচিত। আমরা নিয়মের মধ্যে ছিলাম (টাইম-আউট নিয়ে)। কিন্তু এটি নিয়ে তারা মেতে আছে। আমি এটি নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নই।

তবে পরিস্থিতি যেমন অবস্থায় আছে, তাতে এটি স্পষ্ট যে ওয়ানডে সিরিজেও ‘টাইম আউট’ বিষয়টি বড় আকার ধারণ করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

গত বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের ‘টাইম আউট’র মাধ্যমে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুউসকে সাজঘরে ফেরত পাঠানোর ম্যাচটি ৩ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে ৮২ রানের আক্রমণাত্মক এক ইনিংস খেলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তখনকার টাইগার অধিনায়ক সাকিব।

 

এখন পর্যন্ত ৫৪টি ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে টাইগাররা ১০টিতে এবং লঙ্কানরা ৪২টি জিতেছে। দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।

সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরটি লঙ্কানদের জন্য হতাশার ছিল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল তারা। এর আগে, বাংলাদেশের বিপক্ষে সবগুলো সিরিজই জিতেছে দলটি।

এ ছাড়াও বাংলাদেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং এশিয়া কাপ জয়ের নজির আছে তাদের। বাংলাদেশের মাটিতে টাইগারদের বিপক্ষে ১৪ ম্যাচে জয় ও ৬টিতে হেরেছে শ্রীলঙ্কা।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের চেয়ে শ্রীলঙ্কাই এগিয়ে। কিন্তু ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। শ্রীলঙ্কার আধিপত্য চুরমার করে বেশ কিছু ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাম্প্রতিক ফল বিবেচনায় ওয়ানডে সিরিজে ফেভারিট বাংলাদেশ।