বাংলাদেশিসহ ১০৭৫ অভিবাসী পৌঁছেছে গ্রিসের ২ দ্বীপে

বাংলাদেশিসহ ১০৭৫ অভিবাসী পৌঁছেছে গ্রিসের ২ দ্বীপে

সংগৃহীত

গ্রিসের ক্রিট ও গ্যাভডোস দ্বীপপুঞ্জে চলতি বছর লিবিয়া থেকে নৌকায় করে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের এক হাজার ৭৫ জন অভিবাসী গ্রিসে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিসে আসা অভিবাসীর বেশিরভাগই মিশর, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের নাগরিক। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ৮৬০ জন বেশি।

২০১৫ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়া থেকে অভিবাসী এবং শরণার্থীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের একটি সুবিধাজনক প্রবেশপথে পরিণতা হয়েছে গ্রিস। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ গ্রিসের দ্বীপগুলোতে হাজির হয়েছে। এদের ছাড়া আরও হাজার হাজার মানুষ সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় মারা গেছে। 

গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রী দিমিত্রি কাইরিডিস বুধবার স্থানীয় একটি টিভি স্টেশনকে বলেছেন, ‘এটি একটি নজিরবিহীন পরিস্থিতি। সংখ্যা ছোট ... কিন্তু প্রবণতা যে গতি দেখাচ্ছে তা আমাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করছে।’

গাভডোসের মেয়র লিলিয়ান স্টেফানাকি রয়টার্সকে বলেছেন,  কয়েক ডজন লোক বহনকারী নৌকা প্রায় প্রতিদিনই আসছে। প্রায় ৬৩ জন অভিবাসী বর্তমানে ক্রিটে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

গাভডোস কিংবা ক্রিটে অভিবাসী আশ্রয়ের সুবিধা নেই। নতুন করে যারা আসছেন, তারা গাভডোসের একটি পরিত্যক্ত ভবনে বা ক্রিটে অব্যবহৃত শিশুদের ক্যাম্পে আশ্রয় নিচ্ছেন

স্টেফানাকি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য বড় বোঝা। আমরা একটি ছোট দ্বীপ, আমরা সরবরাহ বা দোকান নেই। খাদ্য একটি বড় সমস্যা। আমাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সীমিত।’