ভারতের উত্তর প্রদেশে মাদরাসা শিক্ষা নিষিদ্ধ করে আদালতের রায়

ভারতের উত্তর প্রদেশে মাদরাসা শিক্ষা নিষিদ্ধ করে আদালতের রায়

প্রতীকী ছবি

ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশে মাদরাসা শিক্ষা নিষিদ্ধ করে আদেশ দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাজ্যের এলাহাবাদ হাইকোর্ট এ রায় দেয়।

রায়ে উত্তর প্রদেশের মাদরাসা পরিচালনাকারী আইন-২০০৪ বাতিল করা হয়েছে। আদেশে বলা হয়, ‘এই আইন ভারতের সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী’। রায়ে মাদরাসায় লেখাপড়া করা শিক্ষার্থীদের প্রচলিত স্কুলগুলোতে শিক্ষাগ্রহণের জন্য পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এই রায়ের ফলে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন হিন্দু-জাতীয়বাদী সরকারের সঙ্গে দেশটির মুসলিমদের দূরত্ব তৈরি হতে পারে।

এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায় ২৭ লাখ শিক্ষার্থী এবং ২৫ হাজার মাদরাসার প্রায় এক লাখ শিক্ষকের জীবনে গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ।

রায়ে বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থী এবং বিবেক চৌধুরী বলেন, ‘রাজ্য সরকার এটাও নিশ্চিত করবে যে, রাজ্যের ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী কোনো শিশু যেন যথাযথভাবে স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থেকে বাদ পড়ে না যায়।’

অংশুমান সিং রাঠোর নামে একজন আইনজীবীর আবেদনের ভিত্তিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট মাদরাসা নিষিদ্ধের এই রায় দেয়।

রাজ্য সরকার মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে নয়, বরং তারা মুসলমান শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে উদ্বিগ্ন জানিয়ে উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় থাকা বিজেপির মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠী বলেন, ‘আমরা কোনো মাদরাসার বিরুদ্ধে নই। কিন্তু আমরা ভেদাভেদের যে অনুশীলন চলে তার বিরুদ্ধে। আমরা অবৈধ অর্থায়নের বিরুদ্ধে এবং আদালতের নির্দেশ অনুসরণ করে রাজ্য সরকার এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। ’

আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ভারতে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। দেশটির মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ মুসলমান। নির্বাচনী প্রচারের ডামাডোলের মধ্যে ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশে মাদরাসা নিষিদ্ধ করা হলো।

রায়ে উত্তর প্রদেশের মাদরাসা পরিচালনাকারী আইন-২০০৪ বাতিল করা হয়েছে। আদেশে বলা হয়, ‘এই আইন ভারতের সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী’। রায়ে মাদরাসায় লেখাপড়া করা শিক্ষার্থীদের প্রচলিত স্কুলগুলোতে শিক্ষাগ্রহণের জন্য পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এই রায়ের ফলে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন হিন্দু-জাতীয়বাদী সরকারের সঙ্গে দেশটির মুসলিমদের দূরত্ব তৈরি হতে পারে।

এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায় ২৭ লাখ শিক্ষার্থী এবং ২৫ হাজার মাদরাসার প্রায় এক লাখ শিক্ষকের জীবনে গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ।

রায়ে বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থী এবং বিবেক চৌধুরী বলেন, ‘রাজ্য সরকার এটাও নিশ্চিত করবে যে, রাজ্যের ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী কোনো শিশু যেন যথাযথভাবে স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থেকে বাদ পড়ে না যায়।’

অংশুমান সিং রাঠোর নামে একজন আইনজীবীর আবেদনের ভিত্তিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট মাদরাসা নিষিদ্ধের এই রায় দেয়।

রাজ্য সরকার মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে নয়, বরং তারা মুসলমান শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে উদ্বিগ্ন জানিয়ে উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় থাকা বিজেপির মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠী বলেন, ‘আমরা কোনো মাদরাসার বিরুদ্ধে নই। কিন্তু আমরা ভেদাভেদের যে অনুশীলন চলে তার বিরুদ্ধে। আমরা অবৈধ অর্থায়নের বিরুদ্ধে এবং আদালতের নির্দেশ অনুসরণ করে রাজ্য সরকার এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। ’

আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ভারতে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। দেশটির মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ মুসলমান। নির্বাচনী প্রচারের ডামাডোলের মধ্যে ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশে মাদরাসা নিষিদ্ধ করা হলো।