ইরানের সামরিক শক্তির উত্থান হয়েছে: খামেনি

ইরানের সামরিক শক্তির উত্থান হয়েছে: খামেনি

ইরানের প্রধান নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি

ইসরায়েলের উপর ব্যাপক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর জনসমক্ষে প্রথম বক্তব্যে ইরানের প্রধান নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তাদের ‘সাফল্যের’ জন্য দেশের সামরিক বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এদিকে সম্প্রতি ইসরায়েল ইরানে যে পাল্টা হামলা চালিয়েছে তাকে খেলনার সঙ্গে তুলনা করেছে ইরান।

সম্প্রতি ইরানের সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে এক বৈঠকে খামেনি “সাম্প্রতিক ঘটনায় সাফল্যের” জন্য সামরিক বাহিনীর প্রশংসা করেন। তিনি ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলের উপর আকাশ পথে ইরানের আক্রমণের কথা তুলে ধরেন।

খামেনি বলেন, 'সশস্ত্র বাহিনী তাদের শক্তি এবং সক্ষমতার ভাল চিত্র এবং ইরানি জাতির একটি প্রশংসনীয় ভাবমূর্তি তুলে ধরেছে। তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইরানি জাতীর শক্তির উত্থান প্রমাণ করেছে।

ইসরায়েল বলেছে, তারা তেহরানের নিক্ষেপ করা তিন শতাধিক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র আর অন্যান্য মিত্রদের সহায়তায় ভূপাতিত করে। বাকিগুলো থেকে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ইসরায়েল এবং তার মিত্রদের হাতে ইরানের হামলা প্রতিহত হবার বিষয়টি হাল্কা করে দেখে খামেনি বলেন, কয়টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে আর কয়টা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে, সেটা মুখ্য বিষয় না। মুখ্য বিষয় হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানি জাতী এবং সশস্ত্র বাহিনীর আত্মশক্তির উত্থান।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবারের ইসরায়েলি পাল্টা হামলাকে খাটো করে দেখেন। ইসরায়েলি হামলায় ব্যবহার করা অস্ত্রকে তিনি বাচ্চাদের খেলনার সাথে তুলনা করেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দোল্লাহিয়ান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেয়ার সময় টেলিভিশন চ্যানেল এনবিসিকে বলেন, গত রাতে যে হয়েছে সেটা কোনরকম আক্রমণ ছিল না। সেগুলো ড্রোন ছিল না – সেগুলো মনে হয় খেলনা ছিল যা দিয়ে আমাদের বাচ্চারা খেলে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েল কোনও উল্লেখযোগ্য আক্রমণ না করলে ইরানের পাল্টা হামলা করার কোনও পরিকল্পনা নেই।

তার মতে, দুই দেশের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ফলে গোটা অঞ্চলে সর্বাত্মক যুদ্ধ বাঁধার ভয় কমাতে সাহায্য করেছে।

ইসরায়েলের শুক্রবারের হামলা, যেটি খামেনিও খাটো করে দেখছেন সেটি ছিল ইসরায়েলের উপর ইরানের ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব। ইরান তার হামলা চালায় সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কূটনৈতিক ভবনে ১ এপ্রিল বিমান হামলার জবাবে। ওই হামলায় ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড বাহিনীর সাতজন সদস্য নিহত হয়।