খাগড়াছড়িতে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণকারী সকলেই বিভিন্ন মামলার আসামি

খাগড়াছড়িতে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণকারী সকলেই বিভিন্ন মামলার আসামি

রবিবার খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ।

'খাগড়াছড়িতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার সাতজনই বিভিন্ন মামলায় জামিনপ্রাপ্ত আসামি। তারা অস্ত্র, ডাকাতি, চুরি, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধে কারাগারে সাজাভোগ করে বের হয়েছেন। কারাগারে থাকাকালীন আসামিদের মধ্যে পরিচয় হয়। জেলখানা থেকে বের হয়ে আসামিরা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।'

রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ। এই ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার সাতজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নুরুল আমিন, বেলাল হোসেন, ইকবাল হোসেন, আব্দুল হালিম, শাহিন মিয়া, মো. অন্তর ও আব্দুর রশিদ। তাদের সবার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর, গুইমারা, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা উপজেলায়। 

মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ বলেন, ৯ জনের সংঘবদ্ধ একটি দল সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পাশাপাশি ওই বাড়িতে লুটপাট চালায়। আসামিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি লুটপাট হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখিত অভিযোগের সাথে আসামিদের স্বীকারোক্তির মিল রয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং বাকি দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে খাগড়াছড়ি শহরে এক পাহাড়ি পরিবারে ডাকাতি করতে ঢোকে একদল যুবক। এ সময় তারা মাকে বেঁধে রেখে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়।