চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বজ্রসহ ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) ভোর থেকে ঢাকায় ঝড় ও বৃষ্টিপাত হলেও বেলা ১১টা থেকে ১২টার দিকে সূর্যের দেখা পেতে পারেন রাজধানীবাসী। তবে বিকেল বা সন্ধ্যা থেকে আবারও বৃষ্টি হতে পারে। এ দিকে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগে সারাদিনই থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে মিয়ানমারে প্রবেশ করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
২০০৭ সালে সংগঠিত ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় সিডরের মতোই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখা। উপকূলে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মোখা গতি সঞ্চার করতে থাকবে। প্রায় সিডরের সমতুল্য গতিবেগ নিয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে মোখা।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার (১১ মে) সকালে আবহাওয়ার প্রকাশিত সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর একই এলাকায় অবস্থান করছে।
দেশের আট বিভাগেই ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়াও চার বিভাগসহ ১০ অঞ্চলে বিরাজমান মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের মানুষও কম আতঙ্কে নেই। দেশের আবহাওয়া অফিস যেমন প্রতিমুহূর্তে মোখার সর্বশেষ তথ্য দিচ্ছে, তেমনি ভারতের আবহাওয়াবিদরাও পূর্বাভাসে ঝড়ের গতিবেগ এবং ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করছেন।
রাজধানীসহ দেশের ৮ বিভাগে আজ দুপুরের পর ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন।
দেশের তিন বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে ৬ জেলায় তাপপ্রবাহ বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের আটটি বিভাগের কিছু এলাকায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকতে পারে।