ক্রমশই শক্তি বাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের আরো কাছে চলে এসেছে ‘অতি মারাত্মক’ ঘূর্ণিঝড় আমফান (প্রকৃত উচ্চারণ উম্পুন)।
আম
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। বুধবার (২০ মে) সকাল ৬টায় মহাবিপদ সংকেত জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
ঘুর্ণিঝড় ‘আম্পান’ পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তাসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিন স্তরের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নৌবাহিনী।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে সুপার সাইক্লোন আম্পান আজ (মঙ্গলবার) সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার, মংলা থেকে ৭৮৫ ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিলো
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে উপকূলীয় ঝুকিপূর্ণ এলাকাসমূহ থেকে লোকজনকে বিভিন্ন সাইক্লোন সেল্টার স্টেশনে নেয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
শক্তিশালী থেকে অতি শক্তিশালী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আমপান। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমপানের শক্তি কয়েকগুণ বাড়বে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আমপান ‘সুপার সাইক্লোন স্টর্ম’-এর চেহারা নেবে। এই অতি শক্তিশালী ঘূ্র্ণিঝড়ের ঘূর্ণনের গতিবেগ হতে পারে সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই তৈরি হয়েছে আরেক দুর্যোগের আশঙ্কা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় আমফান এখন 'অতি প্রবল' ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।