ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস একটি বিপাকজনিত সমস্যা, যেখানে রক্তের শর্করা বা গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। আমাদের দেহের অগ্ন্যাশয় বা প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা বিপাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেহের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তৃণমূল পর্যায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে  দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ।

ডায়াবেটিস হলে শরীরে ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। ফলে দেহের কোষে গ্লুকোজ পৌঁছাতে পারে না। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়।

মিষ্টির প্রতি প্রবল আকর্ষণ ডায়াবেটিসের একমাত্র কারণ- এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। অত্যধিক মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে, এটা ঠিক। কিন্তু মিষ্টি খাওয়া ছাড়াও দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসেও ডায়াবেটিস বাসা বাঁধে শরীরে।

শিশু থেকে বয়স্ক, সব বয়সের মানুষই এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রোগটি সম্পর্কে জানা ও সচেতনা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চিকিৎসকরা বলছেন, শুধু সচেতন হলেই এ রোগটি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে তাই জনমনে আরও সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন তারা।

এক বছর আগে ফেলিনার ডায়াবিটিস টাইপ ওয়ান ধরা পড়েছে। একটি অ্যাপের মাধ্যমে তার ইনসুলিনের ডোজ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে উপকারী কফি। কফিতে রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা তাড়াতাড়ি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। কালো কফি শরীরের বিপাকীয় হার বাড়ায়।

অনেকেই মনে করেন হাইপার টেনশন, ডায়াবেটিসের মতো রোগের লক্ষণগুলো সকলের জন্যই এক। কিন্তু হালের গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত হয়েছে যে রোগের প্রকার বা ধরন এক রকম হলেও নারী বা পুরুষদের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো বদলে যেতে পারে।

সম্প্রতি সময়ে ডায়াবেটিস রোগটি কথা এখন অনেকের মুখে শোনা যায়। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, খাবার খাওয়া, ঘুমসহ বিভিন্ন অভ্যাস ডায়াবেটিস রোগের কারণ হতে পারে।

ওজন কমানোর চিন্তাভাবনা থাকলেও সময়মতো নিজেকে সময় দিতে না পারায় সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হয়ে উঠছে না। তাই নতুন বছরের শুরু থেকেই শরীরে বাড়তি মেদ ছেঁটে ফেলার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেই ফেলুন।