কক্সবাজারের মতো ভাসানচরেও বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) মানবিক সহায়তা দেবে জাতিসংঘ। এজন্য জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এর ফলে নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলো।
ভাসানচর
ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালানোর সময় নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ২৪ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে এপিবিএন সিভিল টিম ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাট উপকূল থেকে ১৯ রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। তারা নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে।
সরকার ইতোমধ্যে স্থানান্তরিত ১৮ হাজারের পাশাপাশি আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পঞ্চম ধাপের প্রথম যাত্রায় নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে দুই হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গা। আজ বুধবার (৩ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজ তাদের কে নিয়ে যাত্রা শুরু করে।
পঞ্চম দফায় নোয়খালীর ভাসানচনে যাচ্ছে আরো তিন সহস্রাধিক রোহিঙ্গা। আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার তারা দ্বীপটিতে পা রাখবে।
চতুর্থ দফার দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রামের বিএন শাহীন কলেজের ট্রানিজট ক্যাম্পে থেকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন আরো সহস্রাধিক রোহিঙ্গা।
চতুর্থ দফায় চট্টগ্রামের বিএন শাহীন কলেজের ট্রানিজট ক্যাম্পে থেকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন আরো দুই হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা।
রোহিঙ্গা মানবিক সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে বাংলাদেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অব্যাহত সমর্থন দেয়ার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বোট ক্লাব থেকে ভাসানচরের যাচ্ছে আরো এক হাজার ৪৬৪ রোহিঙ্গা শরণার্থী।