২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় আরও ৬টি মেট্রোরেলের লাইন প্রতিষ্ঠার সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মেট্রোরেল
সাধারণ মানুষের জন্য মেট্রোরেলের পরিষেবা উন্মুক্ত থাকায় বৃহস্পতিবার সকালে আগারগাঁও স্টেশনে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সকাল থেকেই মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য শত শত মানুষ স্টেশনে ভিড় করতে থাকে।
মেট্রোরেলে টিকিট বিক্রয় মেশিনে (ভেন্ডিং মেশিন) ‘কারিগরি ত্রুটি’ দেখা দিয়েছে। এতে করে বিড়ম্বরনায় পড়েছেন মেট্রোরেলের যাত্রীরা।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হওয়ায় সারাদেশের মানুষ খুশি হলেও বিএনপি খুশি হতে পারেনি।
শহরকেন্দ্রিক মানুষের যাতায়াত সহজ করতে অনেক আগে থেকেই ব্যবহার করা একটি পরিবহন মেট্রোরেল। এটিতে একইসঙ্গে যেমন অনেকে যাতায়াত করতে পারেন, তেমনি এড়ানো যায় যানজট।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ উপলক্ষে প্রথম দিনেই একটি বিশেষ স্মারক ডাক টিকেট ও একটি ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধনের মাধ্যমে বাঙালির গৌরব ও বাংলাদেশের উন্নয়ন মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত হয়েছে। সব বাধা মোকাবিলা করে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেন তিনি।
মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর সুধী সমাবেশ শেষে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেলের উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে রাজধানীবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নপূরণের পাশাপাশি যোগাযোগব্যবস্থার নতুন অধ্যায় সূচিত হলো।
রাজধানী ঢাকাবাসীর বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে দেশে সূচিত হলো আধুনিক নগরায়নের এক নতুন অধ্যায়।
আগামীকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকার প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন। সাধারণ যাত্রীরা পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন। রাজধানীর উত্তরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁওয়ে গিয়ে নামবেন।