ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস।
যুদ্ধবিরতি
অনতিবিলম্বে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য নিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে হামাসের আলোচনা চলছে। এই আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় অবিলম্বে ইসরাইলের সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে চীন, সৌদি আরব ও ইরান। এছাড়াও উপত্যকাটিতে টেকসই ত্রাণ সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে এ তিনটি দেশ। বার্তা সংস্থা আনাদুলো এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়ে উত্থাপিত একটি প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। বাংলাদেশের সময় বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোররাত চারটার দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় প্রস্তাবটি পাস হয়।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ।
যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় আবারও হামলা শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের বিমান হামলায় ১৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
যুদ্ধবিরতির পর এক দিনে শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরাইল। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সশস্ত্র হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে চারদিনের যুদ্ধবিরতির তৃতীয়দিনে ১৭ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল রোববার (২৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জিম্মিদের রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জন হলেন ইসরায়েলি। আর বাকি চারজন বিদেশি নাগরিক। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।