করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিতে যাচ্ছে সরকার।
লকডাউন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্ধেগ হারে বাড়ার কারণে আগামী সোমবার(৫এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার।
ভারতে করোনার ভয়াল ছোয়ায় ইতোমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ১৪১ জনের। কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে সঙ্গেই ফের লকডাউনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আবার লকডাউন হলে সাধারণ মানুষের রুটিরুজি, শিল্প, ব্যবসা ও সামগ্রিক অর্থনীতির কী হাল হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
বিশেষ প্রতিনিধি:করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন বা সাধারণ ছুটির বিষয় সরকার কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে লকডাউনে মানুষ অনেকটা গৃহবন্দী ছিল। ধারণা করা হয়েছিল, লকডাইনে দম্পতিদের সন্তান উৎপাদন বেড়ে যাবে। তবে সেই ধারণা বাস্তব হয়নি। বরং যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কিছু দেশে এর উল্টাটা হয়েছে।
ফ্রান্স হু হু করে বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে আবারও লকডাউন ঘোষণা করলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্স।বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) প্যারিস ও নাইস অঞ্চল সহ ১৬টি অঞ্চলে এক মাসব্যাপী সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছেন তিনি।
স্বাস্থ্যবিধি মেলে চললে লকডাউন প্রয়োজন হবে না। তবে কিছু পরামর্শ সরকারকে আমরা দিয়েছি। আমরা নই, লকডাউন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
দেশে করোনা সংক্রমণ আবারও ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এ কারণে দেশের সব পাবলিক পরীক্ষা বন্ধসহ ১২ দফা সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্রমেই খারাপ হচ্ছে ভারতের মহারাষ্ট্রের অবস্থা। বৃহস্পতিবারই ঘোষণা করা হয়, সোমবার থেকে নাগপুরে পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটছে প্রশাসন।
ভিয়েনায় লকডাউনের বিরুদ্ধে শনিবার হাজার হাজার লোক বিক্ষোভ করেছে। লকডাউনের বিরুদ্ধে এটিই দেশটিতে সর্বশেষ বিক্ষোভ। আইনশৃঙ্খলা ও কোভিড নীতি ভাঙার অভিযোগে কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।