২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার আরও অবনতি হয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৮ কোটি ২০ লাখ মানুষ সংঘাতের কারণে তীব্র ক্ষুধার্ত, বিশেষ করে গাজা ও সুদানে।
ক্ষুধা
দুই বছরের বয়সী ছেলেকে নিয়ে একাই বাড়িতে থাকতেন ৬০ বছর বয়সী বাবা।
টানা ১০৪ দিন ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর এই হামলার চরম মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে অবরুদ্ধ ওই উপত্যকায়। বোমাবর্ষণের কারণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো গাজা। একইভাবে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্ষুধার্ত মানুষের তালিকা।
শীতকালে বিভিন্ন খাবারের প্রতি আমাদের ভালোবাসা একটু বেড়েই যায় বটে। আর এ সময় পেট ভরে খাবার খাওয়ার পরেও যেন তৃপ্তি হয় না, ঘন ঘন ক্ষুধা লাগতেই থাকে। এবং টুকটাক খাবার খাওয়ার জন্য সবারই মন টানতে থাকে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার প্রতিটি মানুষ আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে উচ্চমাত্রার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে
দুইমাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা বর্বরোচিত বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। স্থল পথেও সেনা অভিযান চলার কারণে ভূখণ্ডটিতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই থাকছেন অনাহারে।
বিশ্বের কোটি মানুষকে অনাহারে, অর্ধাহারে রাখার বিষয়টি দীর্ঘদিনের বাস্তবতা। ব্যাপ্তির দিক থেকেও এর বিশালতা বোঝাতে গিয়ে ক্ষুধাকে ‘মহাকাব্যিক মানবাধিকার লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
রোজার বড় একটি আনুষ্ঠানিকতা হচ্ছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে থাকা। যদিও না খেয়ে থাকা বা উপবাস করা আর সিয়াম সাধনা এক জিনিস নয়, তারপরও এই না খেয়ে থাকার মাঝেও রয়েছে অনেক বড় হেকমত।
ক্ষুধার রাজ্যে আরো পতন ভারতের। বিশ্ব ক্ষুধা সূচক (গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স বা জিএইচআই) বলছে, ২০২২-এ বিশ্বের ১২১টি দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে ১০৭তম স্থানে। গত বছর, এই তালিকায় ভারতের স্থান ছিল ১০১। অর্থাৎ, এক বছরের মধ্যে ভারত ক্ষুধাসূচকে নেমেছে অনেকটাই।
প্রতি চার সেকেন্ডে একজন মানুষ ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে বলে মঙ্গলবার ২০০ টিরও বেশি এনজিও সতর্ক করেছে। বিশ্ব ক্ষুধা সংকটের অবসান করার জন্য নিষ্পত্তিমূলক আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে তারা।