রমজান মাসের শেষে সারা বিশ্বের মুসলিমরা যখন সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরে উদযাপনে মেতেছে, তখন মলিন মুখে সময় পার করছে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শিশুরা। তারা বলছে, তাদের কাছ থেকে ঈদের আনন্দ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গাজার
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক বিপর্যয়ে থাকা শিশুদের সহায়তার জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থাকে ১০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
প্রায় ৩৩২ টন খাবার ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গাজার উদ্দেশে সাইপ্রাস বন্দর ছেড়েছে তিনটি জাহাজ।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজার জনগণের জীবন রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে আসছি।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষের জন্য ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল। এই পরিস্থিতিকে ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির জন্য ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল। এই পরিস্থিতিকে ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
আরেক বিপর্যয়ের সাক্ষ্য হয়েছে গাজার আল শিফা হাসপাতাল। হাসপাতালটির অপারেশন থিয়েটারে বোমা মেরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দখলধার বাহিনী।
ফিলিস্তিনের গাজা উপকূলে পৌঁছেছে প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ। ওপেন আর্মস নামক জাহাজটি ২০০ টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) থেকে ওই এলাকার সমুদ্রে অবস্থান করছে। তিনদিন আগে গ্রিক শাসিত সাইপ্রাস থেকে যাত্রা করেছিল এ নৌযান। জাতিসংঘ বলছে, দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে গাজাবাসী পেলো এই ত্রাণ।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আমার সবচেয়ে বড় হতাশা হলো, গাজায় এত বড় পরিসরে দুর্ভোগ দেখেও এটিকে থামানোর ক্ষমতা আমার নেই।
কাতারের মধ্যস্থতায় গাজাবাসী এবং জিম্মিদের ত্রাণ সহায়তার বিষয়ে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে হামাস ও ইসরায়েল।