টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৬ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়া জেলার ৮ উপজেলায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ফলে অন্ধকাচ্ছন্ন হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চট্টগ্রামবাসী।
- ঢাকায় নিয়োগ দিতে যাচ্ছে এসিআই
- * * * *
- মার্কেন্টাইল ব্যাংকে চাকরির সুযোগ
- * * * *
- নিয়োগ দিচ্ছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক
- * * * *
- চাকরির সুযোগ দিচ্ছে কমার্স ব্যাংক
- * * * *
- নিয়োগ দেবে মিনিস্টার, ২০ বছরেই আবেদনের সুযোগ
- * * * *
পানিবন্দি
টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়ি ও জুরাছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার ১০ উপজেলায় ৩৭১টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে।
চট্টগ্রাম নগরীতে ১৯২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে ডুবে গেছে। এ অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধের দাবি জানান শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকেরা।
গেলে কয়েক দিন ধরে ভারি বর্ষণ ও মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে বান্দরবানের লামা, কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে তিন উপজেলার প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মানুষ এখন পানিবন্দি অবস্থায় জীবনযাপন করছেন।
নগরের অন্তত ১৫ লাখ মানুষ অসহনীয় কষ্টের শিকার। ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা।
উজান থেকে নেমে আসা অব্যাহত পাহাড়ি ঢল আর কয়েকদিনের টানা বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জোয়ারের পানির স্রোতে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ১০টি গ্রামের প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
দেশের যে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিবন্দি হয়ে আছে, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেগুলোতে শ্রেণি পাঠদান স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢল আর অতি ভারী বৃষ্টিতে নদনদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার আরো বিস্তৃতি ঘটেছে।