মিয়ানমারের রাখাইনে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষ ঘিরে আবারও পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিল দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৯ জন সদস্য।
সীমান্তরক্ষী
পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদসহ ৩৩০ জনকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে কক্সবাজারে।
মিয়ানমার থেকে বুধবার আরও ৬৩ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ বা বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এ নিয়ে মিয়ানমার থেকে ৩২৭ জন নিরাপত্তা রক্ষী বাংলাদেশে পালিয়ে আসল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির প্রবল আক্রমণের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা। সর্বশেষ একসঙ্গে ১১৪ জন সীমান্তরক্ষী মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করেছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াল ২২৯ জনে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মিসহ স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর চলমান সংঘর্ষে নাস্তানাবুদ হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১১ জন সদস্য। এ নিয়ে সীমানার এপারে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০৬।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত ১৫ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও উখিয়া এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকার বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের ১৪ সীমান্তরক্ষী।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে বিএসএফর গুলিতে নিহত হওয়ার ১৬ দিন পর দুই যুবকের মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।