ফেব্রুয়ারিতে খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মার্চ-এপ্রিলে সিদ্ধান্ত

ফেব্রুয়ারিতে খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মার্চ-এপ্রিলে সিদ্ধান্ত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -ফাইল ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর  ফেব্রুয়ারি তে খোলার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত আসছে না।  তবে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যবেক্ষণ করে মার্চ অথবা এপ্রিলে খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্রুত ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানান তিনি।

আজ শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণার উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'পরীক্ষা ছাড়া পাস দেয়ার বিষয়ে অনেকে বিরূপ মন্তব্য করছেন। এতে করে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ তৈরি না হতে আমরা নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাই এ ফলাফল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করবেন না। আমাদের অপেক্ষামান পরীক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিলেও সকলকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে আমরা পরীক্ষা আয়োজন করতে পারিনি। বিশ্বের অনেক দেশেও পরীক্ষা ছাড়াই পাস দেয়া হয়েছে। তার আলোকে আমরাও এ পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হই। শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে এক বছর নষ্ট না করতে পরীক্ষা বাতিল করে পাসের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় অনেকেই সরকারের সমালোচনা করছেন। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি পরীক্ষা নেওয়ার ফলে কোনো শিক্ষার্থী যদি সংক্রমিত হয়, তার দায় কী সমালোচনাকারীরা নেবেন? নিশ্চয়ই নেবেন না। তখন তারা ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতেন। তারা শুধু অহেতুক সমালোচনাই করতে পারেন, কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী কার্যকর কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না।’ ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোনার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না ।  তবে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যবেক্ষণ করে মার্চে অথবা এপ্রিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এইচএসসি-সমমানের ফল প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।