অঙ্কুশের সহকারির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

অঙ্কুশের সহকারির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

টনার খবর জানার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃখপ্রকাশ করেন অঙ্কুশ। -সংগৃহীত ছবি

অঘটন টলিপাড়ায়। কাঁকুড়গাছিতে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল কোলকাতা সিনামার নায়ক অঙ্কুশের সহকারির ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। ঘটনার খবর জানার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃখপ্রকাশ করেন অঙ্কুশ। তাঁর প্রিয় বাপ্পাদা, তথা পিন্টু দের মৃত্যুতে শোকার্ত অভিনেতা।

ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন,“আজ আমি আমার সবথেকে কাছের মানুষকে হারালাম। বাড়ির ভিতরে যেমন মা বাবা আমার খেয়াল রাখে ঠিক সেরকম বাড়ির বাইরে এই মানুষটি আমাকে আমার মা বাবার মতো খেয়াল রাখত। ১০ বছরের এই পথ চলা কোনওদিন ভুলব না। যেখানেই থেকো ভালো থেকো বাপ্পাদা। তবে আমাকে এভাবে ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য অভিমান সারাজীবন করব তোমার উপর। শুটিংয়ে সময় মতো ওষুধ খাব কিনা আর জানি না। সময় মতো জল খাব কিনা জানি না। ছোট্ট টাওয়েল দিয়ে আমার শরীরের ঘাম কে মুছিয়ে দেবে আর জানি না। এভাবে অভ্যেস খারাপ করিয়ে দিয়ে চলে গেলে এর জন্য ক্ষমা করব না। জানি সম্ভব না তাও ফিরে এস।”

পুলিশ সূত্রে খবর,পিন্টু দেকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল। তাঁর কাছে টাকা চেয়ে ফোন আসত। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে এও জানতে পেরেছে পিন্টুর অ্যাকাউন্ট থেকে দেড় মাসে ৩০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। কিন্তু কাকে সেই টাকা দেওয়া হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে ক্রমাগত এই চাপ সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। তাঁর মোবাইল ফোন আপাতত পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। তার উপর ভিত্তি করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

প্রসঙ্গত,বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে এখন উত্তাল রাজনীতি। অনেক সেলিব্রিটি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নাম লিখিয়েছেন। যদিও সেসব থেকে দূরে অঙ্কুশ ও ঐন্দ্রিলা। দুজনেই বিভিন্ন ইন্টারভিউতে বারংবার বলেছেন, রাজনীতির ময়দানে তাঁরা আসবেন না। অভিনয়টাই মন দিয়ে করতে চান। অঙ্কুশ মাঝে মধ্যেই নিজের সিনেমার জন্য হোক বা এমনি নানা মজার ভিডিও আপলোড করে থাকেন তাঁর অনুগামীদের উদ্দেশে। কিছুদিন আগে অঙ্কুশ পোস্ট করেন এমন এক ছবি যা বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক সামাজিক অবস্থাটা খুব সহজেই বুঝিয়ে দিতে পারে।

ছবিটির ওপরের অংশে দেখা যায়,এক জন মঞ্চের ওপর থেকে বলছে,’কে বদল চায়’? আর নীচে দাঁড়িয়ে থাকা জনগণের সবাই হাত তুলছে,বদল এর দাবী জানিয়ে। আর ছবিটির দ্বিতীয় অংশে দেখা যায়,মঞ্চের ওপর থেকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে,’কে বদলাতে চায়?’ আর তাতে নীচে দাঁড়িয়ে থাকা জনগণের মধ্যে কারুর হাত উঠলো না। এই বিদ্রুপ করা পোস্ট দিয়ে অভিনেতা বোঝালেন,বদল সবাই চাইলেও বদলাতে বা বদল আনতে যে সাহস লাগে তা বেশিরভাগ জনের মধ্যেই নেই।