এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ : পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০

এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ : পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০

ফাইল ছবি

সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার নীতিমালা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। 

নতুন এই নীতিমালায় আবেদন যোগ্যতা, কোটা, মেধা তালিকা প্রস্তুতি, মাইগ্রেশন এবং ভর্তি প্রক্রিয়া–সব কিছুই স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব সঞ্জীব দাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আট পৃষ্ঠার এই নীতিমালা প্রকাশের বিষয়টি জানানো হয়।

নীতিমালা অনুযায়ী– ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। প্রার্থীকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। দুই পরীক্ষার মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.৫০ থাকতে হবে এবং কোনো এক পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০০-এর নিচে হলে আবেদন অযোগ্য বলে গণ্য হবে।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি কলেজে ভিন্ন মানদণ্ড প্রযোজ্য হলেও তাদেরও ন্যূনতম জিপিএ এবং জীববিজ্ঞানে নির্দিষ্ট নম্বর অর্জন করতে হবে। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কিছু বিশেষ কোটা ও ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ মেধা তালিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন হবে। এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের জিপিএ এবং জাতীয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সমন্বয়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হবে।

লিখিত ভর্তি পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের, যেখানে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পরীক্ষায় ৪০ নম্বরই পাস মার্ক ধরা হয়েছে। ভুল উত্তরে ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।

ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এরপর শুরু হবে বেসরকারি কলেজে ভর্তি। বেসরকারি কলেজে নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য অনলাইনে পুনরায় আবেদন ও মেধা এবং পছন্দক্রম অনুযায়ী আসন বরাদ্দের ব্যবস্থা থাকবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাইগ্রেশন বা কলেজ বদলের সুযোগ সরকারি কলেজে সর্বোচ্চ তিনবার এবং বেসরকারি কলেজে সর্বোচ্চ দুইবার পাওয়া যাবে। তবে একবার চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন হলে ইন্টার্নশিপের আগে কোনো শিক্ষার্থী অন্য কলেজে স্থানান্তর করতে পারবে না।

এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের পাঠক্রম বিএমডিসি অনুমোদিত কারিকুলাম অনুযায়ী পরিচালিত হবে। কোর্স শেষে এক বছর ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক থাকবে। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য নির্দিষ্ট আসন সংরক্ষিত থাকবে এবং সংরক্ষিত আসনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সনদপত্র কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি যাচাই করবে।