ওয়াশিংটন যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট, যোগ দিচ্ছেন আইএসবিরোধী জোটে

ওয়াশিংটন যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট, যোগ দিচ্ছেন আইএসবিরোধী জোটে

ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ায় সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর দ্বিতীয়বারের মতো ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। শনিবার সিরিয়ায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক আল-শারার সম্ভাব্য ওয়াশিংটন সফরের এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা যুক্তরাষ্ট্র সফরে যেতে পারেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বাহরাইনে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি বিষয়ক বার্ষিক সম্মেলন ‘মানামা ডায়ালগের’ ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন সিরিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন বিশেষ এই রাষ্ট্রদূত।

সেখানে তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট আল-শারার ওয়াশিংটন সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী জোটে সিরিয়া যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তিনি।
 
গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একাধিক বার বিদেশ সফরে গেছেন আল- শারা।

দেশটির সশস্ত্র একটি গোষ্ঠীর এই নেতার নেতৃত্বাধীন সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসাদের শাসনামলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে সিরিয়ার সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করছে।

২০১৪ সালে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটবিরোধী জোট গঠন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই জোটের সদস্য নয় সিরিয়া। তবে আল-শারার সফরে সিরিয়া এই জোটে যোগ দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সিরিয়া ও ইরাকের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা দখলে নিয়ে নিজেদের ইসলামি আমিরাত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিল জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। সেই সময় ভয়াবহ নৃশংসতার জন্য কুখ্যাতি অর্জন করে এই গোষ্ঠীটি।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ও স্থানীয় মিত্র গোষ্ঠীগুলো ২০১৯ সালে ওই জঙ্গিগোষ্ঠীকে তাদের শেষ ঘাঁটি থেকে বিতাড়িত করে। তবে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে গত জুনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আসাদ সরকারের পতনের সুযোগে আবারও সিরিয়া ও প্রতিবেশী ইরাকে পুনরুত্থানের চেষ্টা করছে আইএস।

সূত্র: রয়টার্স।