ক্যান্সার আক্রান্ত ও মৃত্যু কমাতে সঠিক পরিকল্পনা ও নীতিমালা জরুরি

ক্যান্সার আক্রান্ত ও মৃত্যু কমাতে সঠিক পরিকল্পনা ও নীতিমালা জরুরি

সংগ্রহীত ছবি

দেশে ক্যান্সার রোগীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশই চিকিৎসার আওতার বাইরে। এমন পরিস্থিতিতে আক্রান্তের হার কমিয়ে আনতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও সঠিক নীতিমালার তাগিদ দিয়েছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে অনকোলোজি ক্লাব আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ক্যান্সার কংগ্রেস ২০২৫’-এর সমাপনী দিনে এ তাগিদ দেন তারা।

আয়োজনের দ্বিতীয় দিনে বিশ্বের ক্যান্সার পরিস্থিতি ও দেশের ক্যান্সার চিকিৎসার অপ্রতুলতা বিষয়টি উঠে আসে। এবারের কনফারেন্সে বিশ্বের ১৬টি দেশের ৩১ জন খ্যাতনামা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞসহ মোট ১ হাজার ২০০ জন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, ক্যান্সার সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী ও গবেষক অংশ নেন।

এ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. এ এফ এম কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশে ক্যান্সার রোগীর তুলনায় রেডিও থেরাপি মেশিন খুবই কম।

সারা দেশে ১ লাখ ৮৪ হাজার ক্যান্সার রোগীর জন্য অন্তত ২০৯টা মেশিন প্রয়োজন। সেখানে দেশে আছে মাত্র ২৯ টি মেশিন আছে। অপ্রতুল রেডিও থেরাপি মেশিনের অভাবে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

ব্রিফিংয়ে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. এম. সাইফুল হক বলেন, ক্যান্সার রোগীর মৃত্যু হার কমাতে সবার আগে প্রয়োজন সরকারের সঠিক নীতিমালা ও পরিকল্পনা।

ক্যান্সার চিকিৎসা যেহেতু ব্যয়বহুল, সেক্ষেত্রে সরকারের উচিত হবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা।

সম্মেলনের অনুষ্ঠানে অনকোলজি ক্লাব বাংলাদেশ ও ক্যান্সার কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এম এ হাই বলেন, দেশে ক্যান্সার চিকিৎসার আধুনিকায়নে মানসম্পন্ন ও দক্ষ জনবল তৈরি করাই অনকোলোজি ক্লাবের মূল উদ্দেশ্য। ক্যান্সার জয় করতে এবং দেশের ক্রমবর্ধমান ক্যান্সার রোগী ও তাদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানের একাডেমিক পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিলেন ইতালির বলোনিয়া ইউনিভার্সিটি, সিংহেলথ সিঙ্গাপুর এবং গ্লোবাল হেলথ ক্যাটালিস্ট। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের রয়েল মডার্ন হাসপাতাল, সেন্টবার্থোলোমিউ’স হাসপাতাল, কেএইচসিসি এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং একাডেমি, হুইপস ক্রস ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্রের ইউপিএমসি হিলম্যান ক্যান্সার সেন্টার, ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গ স্কুল অব মেডিসিন, পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটিসহ বিশ্বের অন্যান্য খ্যাতনামা ক্যান্সার হাসপাতালের চিকিৎসক ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।