করোনা: যশোরে গ্রামের মানুষের মধ্যে অসচেতনাতা

করোনা: যশোরে গ্রামের মানুষের মধ্যে অসচেতনাতা

কোনো রকম স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়াই দোকানে বসে আড্ডায় দিচ্ছে গ্রামের মানুষ-

করোনার আতংক থাকলেও যশোরের গ্রামাঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে এখনো অসচেতন। এতে ক্রমেই গ্রামাঞ্চলে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যুর হারও। এ অবস্থায় উপসর্গ দেখা দিলেই নিকটস্থ হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরমার্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।  

যশোর সদর উপজেলার রুপদিয়া গ্রামের অলোক দত্তের প্রায় ২০ দিন আগে জ্বর আসে। সাথে দেখা দেয় সর্দি, কাশি ও গায়ে ব্যাথা। এ অবস্থাতেই তিনি রুপদিয়া ও মনিরামপুরে দু’টি হাট করেছিলেন। এর এক পর্যায়ে তার পেটে ব্যাথা দেখা দেয়। শুরু হয় শ্বাস কষ্ট। অসুস্থতার দশ দিন না যেতেই মারা যান অলোক। স্বজনরা বলছেন, অসুস্থ হলেও অলোক কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নেননি। করাননি করোনার নমুনা পরীক্ষাও। এ অবস্থায় মারা যাওয়ায় করোনার ভয়ে তার সৎকারেও আসেননি কেউ।

যশোরের গ্রামগুলোতে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ করোনার নানা উপসর্গ ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু অসচেতনতার কারণে তারা যেমন চিকিৎসকের দ্বারস্থ হচ্ছেন না, তেমনি চলছে অবাধ মেলামেশাও। এতে সংক্রমণ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

করোনার উপসর্গ নিয়ে শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্জলের মানুষ বেশী আসছেন। তাদের মধ্যে মৃত্যুর হারও তুলনামূলক বেশী। এ অবস্থায় সচেতনতার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করছেন এ চিকিৎসক।

পহেলা জুন থেকে আজ ২৮ জুন পর্যন্ত যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে করেনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৫ জন, করেনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৫৪ জন। এদের অধিকাংশই  গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দা।