পিঠা উৎসবে মেতে উঠেছে কুবির বাংলা বিভাগ

পিঠা উৎসবে মেতে উঠেছে কুবির বাংলা বিভাগ

পিঠা উৎসবে মেতে উঠেছে কুবির বাংলা বিভাগ

আবহমান গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি হলো- 'পিঠা উৎসব'। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ও নগরায়নের ফলে এই পিঠা উৎসব বিলুপ্তির পথে। বাঙালির এই পিঠা উৎসবের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে এবং তরুণ প্রজন্মের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাংলা বিভাগের সহযোগী সংগঠন ভাষা-সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে দ্বিতীয় বারের মতো পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

 বুধবার (১২ জানুয়ারি) ১২ টায় বাংলা বিভাগের করিডোরে এউৎসব উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আহমেদ মওলা, সহযোগী অধ্যাপক শামসুজ্জামান মিলকী, ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. রেজাউল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ রাজু, প্রভাষক সুমনা আক্তার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

 বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন স্টল সাজিয়েছে নানান রকমের পিঠা-পুলি দিয়ে। এরমধ্যে রয়েছে- সুইচ রোল পুলি, চন্দন কাঠ, সুজির মালাই চাপ, ম্যারা পিঠা, নারকেল পুলি পিঠা, দুধ চিতুই, ভাপা পিঠা, ফুলঝুরি পিঠা, সেমাই পিঠা, সাগু রিং, কেক, গোলাপ পিঠা, ডালের পিঠা, পুডিং, দুধ মালাই রিং, দুধ সন্দেশ, নারকেল চমচম, তেলের পিঠা, নারকেল পাকন, নুডলস পিঠা, চুষি পিঠা, সাজের পিঠা পাঠিসাপটাসহ ভিন্ন স্বাদের বৈচিত্রময় পিঠা। উৎসবে প্রায় শতাধিক পদের পিঠার সমাহার দেখা যায়।

 পিঠা উৎসবের আহ্বায়ক ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন- 'পিঠা উৎসব হল বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেটা আমরা প্রতিবছর বাংলা উৎসবে রাখি। এই পিঠা উৎসব আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে আলাদা বিশেষত্ব সৃষ্টি করবে। '